তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো কজ তৃণমূলের
তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো কজ তৃণমূল কংগ্রেসের। শৃঙ্খলারক্ষা নিয়ে কড়া বার্তার পরেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে আগের বক্তব্যে অনড় ছিলেন হুমায়ুন। ফিরহাদ কেন একাধিক পদে রয়েছে, গতকাল সে প্রশ্নও তুলেছিলেন হুমায়ুন। বিধানসভায় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে শো কজের সিদ্ধান্ত, নোটিস পাঠানো হবে আজই এমনটাই ছিল খবর। তিনদিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
শাসকদল সূত্রে খবর, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অমান্য করে দল নিয়ে প্রকাশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করায় ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুনকে শোকজ় করা হয়েছে।
দলীয় কর্ম সমিতির বৈঠকে মমতা স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন, দলের নেতারা চাইলে যেখানে খুশি যেতে পারবেন। কিন্তু দল নিয়ে যা খুশি তা-ই বলতে পারবেন না। যদি কোনো নেতা তিনবার দলীয় শৃঙ্খলারক্ষার নিয়ম ভাঙে তাঁকে প্রথম শোকজ করা হবে। এমনটাই দলীয় সূত্রের খবর। এই নির্দেশের ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই দল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন হুমায়ুন। আর তারপরেই এই শোকজ নোটিশ।
হুমায়ূন বলেছিলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে কয়েক জন ঘিরে রয়েছেন, যে ক’জন নিজেদের পরিকল্পনার মধ্যে রেখেছেন, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কতটা ভাল চান, পশ্চিমবঙ্গের শাসক হিসাবে তাঁকে দীর্ঘমেয়াদে দেখতে চান কি না, তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। যাঁরা ক্ষমতায় আছেন, যাঁরা দলটাকে গুলিয়ে দিতে চাইছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের জায়গা ঠিক রাখতে চাইছেন, কানে মন্ত্রণা দিচ্ছেন, ২০২৬ সালে তাঁরা জবাব পাবেন। আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতা মানি। তৃণমূল যদি আগামী দিনে আমাকে টিকিট না দেয়, বেঁচে থাকলে অপকর্মের জবাব দেব।’’
তৃণমূল সূত্রে খবর, বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে হুমায়ুনের ওই মন্তব্যে বেজায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে দলীয় নেতৃত্বকে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊