চলছে আবাস যোজনা প্রকল্পের তালিকা নির্মাণ- শান্তি দেবীর দিকে তাকায়না কেউ !
ঘরে শুয়ে দেখা মেলে আকাশের চিকচিকে তারা! বাইরের ঝড়, বৃষ্টি ,বাতাস সবই শরীর ছুঁয়ে যায় ঘরে বসেই! নাহ, এ কোনও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার অনুভূতি নয়। দিনের পর দিন জরা জীর্ণ ঘরে রাত কাটানোর এক দুর্ভোগের অভিজ্ঞতা। এই দুর্ভোগের ছবি জলপাইগুড়ি শহরের এক বৃদ্ধ মহিলার।
জলপাইগুড়ির সালুপাড়ার বাসিন্দা শান্তি মন্ডল। ঘরের বিছানায় ঘুমালে বিছানা থেকেই তারা গোনা যায় আকাশে কতগুলো রয়েছে! আবার পাশে পাহারাদারের মত দাঁড়িয়ে থাকে গরুর ছানা। গত ৩৫ বছর ধরে শাক পাতা বিক্রি করেই কোনওরকমে সংসার চলছে এই মহিলার। আগে পিছে কেউ নেই ! রয়েছে শুধু মাত্র বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছেলে। পুষ্টির অভাবে তার শরীরও শীর্ণকায়।
জানা যায়, শান্তিদেবী সকাল ভোর বেলায় এই বৃদ্ধ বয়সেও শাক বিক্রি করে নিয়ে আসে ,তারপর চলে তাদের দুজনের সংসার । টানাপোড়েন সংসারের মধ্যেও উপরি দুর্ভোগ তাদের জরাজীর্ণ ঘর। মাথার ওপর ছাদ টুকুও নেই। ঝড় জলের রাতে সেই দুর্ভোগ পোহাতে হয় চরম। প্রায় ৩০ বছরের উর্ধ্বে সময় ধরে বাঁশ এবং ত্রিপলের ছাউনি দিয়ে ঘেরা ঘরেই ছেলেকে আগলে রেখেছে মা।
চলছে আবাস যোজনা প্রকল্পের তালিকা নির্মাণ। জারি রয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভেরিফিকেশন। যোগ্যরা যাতে সরকারি আবাস যোজনা প্রকল্পের অধীন থেকে বাদ না করে সেই দায়িত্বই রয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের কাঁধে। কিন্তু তা সত্বেও যেন ফাঁক থেকে যাচ্ছে কোথাও! যে বিষয় নিয়ে বারবার অভিযোগ তুলছে সাধারন মানুষ।
এই একই সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে শান্তিদেবীকেউ। যোগ্য হওয়া সত্বেও আবাস যোজনা প্রকল্পের তালিকায় নাম নেই, মেলেনা সরকারি বৃদ্ধ ভাতা,রেশন কার্ড থাকা সত্ত্বেও রেশন সামগ্রী সেভাবে মেলে না বলেই অভিযোগ শান্তিদেবীর।
পরিবারের কেউ না থাকায় সাহায্য করার হাতটাও নেই বললেই চলে! সরকারের কাছে তাই শান্তি দেবীর অনুরোধ একটাই, সরকারি প্রকল্পের অধীনে নাম নথিভুক্ত করা হলে কিছুটা হলেও জীবন যাপন সহজ হবে। একরাশ হতাশার সুর সহ তার আশা অন্তত মাথার উপর ছাদটুকু তো থাকবে!
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊