মুর্শিদাবাদের নিজের মেয়েকে খুন করলেন মা ও তার প্রেমিক!
নিজের তিন বছরের কন্যাকে হত্যার অভিযোগ উঠলো মা এবং তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে । পারিবারিক কলহ এবং সম্পর্কের টানাপোড়ন থেকে ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা।
ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার হাওড়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দৌলতাবাদের ১৪ মাইল এলাকায় হাসিবুর রহমান এবং সঞ্জিতা খাতুনের বিয়ে হয় চার বছর আগে। হাসিবুর রহমান পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। তাঁর স্ত্রী সঞ্জিতা খাতুনের বাড়ি হেরামপুর অঞ্চলের দীঘলকান্দি কাঞ্চনপুর এলাকায় বলে জানা যায়। তাঁদের সংসারে ছোট্ট মেয়ে হাসিনা খাতুন ( সামিমা ) এর জন্ম হয়। বিয়ের পর তাঁদের সংসার বেশ ভালোভাবেই চলতো।
তার মধ্যেই মৃত হাসিনা খাতুনের মা সঞ্জিতা খাতুনের ভালোবাসা শুরু হয় দৌলতাবাদের ছয়ঘরী এলাকার মন্টু সেখের সাথে। প্রেমিক মন্টু সেখও পেশায় রাজমিস্ত্রি, দেশে এবং বিদেশে কাজ করে। তাঁদের ভালোবাসার পর থেকেই নিজের পরিবারে ধরে ফাটল। দীর্ঘদিন ধরেই মা সঞ্জিতা খাতুন এবং তার প্রেমিক মন্টু সেখ -এর মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে পারিবারিক অশান্তি চলছিল। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায় বচসা বেঁধেই থাকতো। এমন ঘটনার সূত্রপাত ছয় মাস আগে থেকে বলে জানিয়েছে হাসিবুর রহমানের বাবা, মা এবং স্থানীয়রা।
এছাড়াও আরও জানা যায়, ছয় মাস আগে থেকে সঞ্জিতা খাতুন নিজের বাবার বাড়ি চলে যায়। সেখান থেকে আর স্বামীর বাড়ি ফিরে নি। বুধবার প্রেমিক মন্টু সেখের সাথে সকালবেলায় হাওড়া যাওয়ার পর, রাত্রে দুজনের চক্রান্তে নিজের মেয়েকে শ্বাস রোধ করে খুন বলে অভিযোগ উঠে আসে। ঘটনাস্থলে হাওড়া থানার পুলিশ গিয়ে হাসিনা খাতুনকে হসপিটালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনার খবর ফোন করে জানানো হয় পরিজনদের।
মৃত হাসিনা খাতুনের বাবা এবং পরিজনেরা সেখানে গিয়ে হাওড়া থানায় লিখিত দায়ের করেন। মেয়েটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করার পর শুক্রবার নিজের গ্ৰামে শেষ কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানা যায়। ঘটনাটির পূর্ণ তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া থানার পুলিশ।
প্রতিবেশীরা জানান, অভিযুক্তরা মেয়েটির ওপর পাশবিক অত্যাচার করে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এই ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজে পারিবারিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা দরকার। সচেতনতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতাই এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখা দরকার।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊