শীতের দুপুরে এখন আর তুলো ভাঙার ধনুরির শব্দ শোনা যায় না

শীতের দুপুরে এখন আর তুলো ভাঙার ধনুরির শব্দ শোনা যায় না



বেশ কিছু বছর আগেও শীতের দুপুরের নীরবতা ভেঙে যেত একটানা ধুনুরির শব্দে। পুজোর মরসুম শেষ হলেই পাড়ায় পাড়ায় দেখা মিলত ওদের। হাতে তুলোর ‘ধোনাই যন্ত্র’। ডগার দিকে ক্রমশ ছুঁচলো হয়ে যাওয়া বাঁশের চকচকে একটা লাঠি থেকে ঝুলন্ত লাল কাপড়ের পুঁটলি। তার মধ্যে পাট করে সাজানো লেপ তৈরির হালকা কার্পাস কিংবা বালিশ তৈরির শিমুল তুলো। সঙ্গে নানা ধরনের লাল ‘শালু’, ‘বাঁদিপোতার’ সস্তা খোপকাটা কাপড়। হেমন্তের সকালে বাড়ির ছাদে বা উঠোনে স্তূপাকার তুলো ধুনে সুরেলা শব্দে মিহি রোঁয়া উড়লেই বোঝা যেত শীত আসছে। এদের মধ্যেই জলপাইগুড়িতে দেখা মিলছে ভিন রাজ্য থেকে আসা ক'জন ধুনুরির।

তবে এখন হতাশার সুর তাদের গলায়। এখন তাদেরও খুব একটা দেখা মেলে না বললেই চলে। বর্তমানে, শীত আসলেই খোঁজ পড়ে ব্ল্যাঙ্কেটের। আর এখানেই ভবিষ্যতে অস্তিত্বের প্রশ্ন চিহ্ন নিয়ে উঁকি দেয় লেপ!

যতই নিত্য নতুন ব্ল্যাঙ্কেট বাজারে আসুক না কেন বাঙালির কনকনে শীতে তুলোর গরম লেপ মোরা না দিয়ে শুলে শীতের আমেজটাই আসে না! এমনটা এখনও মনে করেন, যারা শীতকে আসলেই ভালোবাসেন, পছন্দ করেন শীতের আমেজ। তাই হাতে গোনা কিছু এমন মানুষের জন্যেই হাতে গোনা ক'জন ধুনুরি বিহার থেকে চলে আসেন সোজা বাংলায়। বিভিন্ন জেলায় লেপ বানানোর বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে পৌঁছে যায় লেপ বানানোর কাজ খুঁজতে।