Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

ঘূর্ণিঝড় দানা, বুধবার হতে পারে ল্যান্ডফল! কোথায় কোথায় পড়বে প্রভাব?

ঘূর্ণিঝড় দানা, বুধবার হতে পারে ল্যান্ডফল! কোথায় কোথায় পড়বে প্রভাব?  

Cyclone Dana


সাগরদ্বীপ থেকে ৭৭০ কিমি দূরে নিম্নচাপ! বুধবার আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় দানা। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ওড়িশার পারাদ্বীপের ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে নিম্নচাপটি। বাংলার সাগরদ্বীপের ৭৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে এটি।

নিম্নচাপটি ক্রমশ পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে আসছে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। ঘনীভূত হয়ে বুধবার সকালেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আবহবিদদের অনুমান, বুধবার রাত এবং বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ওড়িশার পুরী এবং এই রাজ্যের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী কোনও অংশ দিয়ে স্থলভাগে ঢুকতে পারে। ল্যান্ডফলের সময় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিবেগ হতে পারে দমকা হাওয়ার গতিবেগ ১২০ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলা এবং ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ইতিমধ্যে সমুদ্রে জেলেদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বাংলার কয়েকটি জেলায় ব্যাপক প্রভাবের সম্ভাবনা। বাংলার দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ও বাঁকুড়া— এই আট জেলায় পড়তে পারে প্রভাব।

বুধবার দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়ায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর আর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অতি ভারী বৃষ্টির জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই দুদিন দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রত্যক্ষ প্রভাব না পড়লেও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পুরে দুই দিনাজপুর এবং মালদহে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় আগামী শুক্রবার পর্যন্ত মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

আগাম সতর্কতা হিসাবে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ওড়িশার এই ১৪ জেলায় সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। সৈকত শহর পুরী মঙ্গলবারের মধ্যেই পর্যটকশূন্য করা দেওয়া হচ্ছে। দুর্যোগের সাথে লড়াই করতে বাংলার জন্য এনডিআরএফের ১৪টি দল এবং ওড়িশার জন্য ১১টি দলকে প্রস্তুত রয়েছে বলে খবর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code