RG Kar Case: আর জি কর মামলার সুপ্রিম শুনানি একনজরে


supreme court



আজ আর জি কর মামলার চতুর্থতম শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে । প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে বিকাল ৪ টা নাগাদ শুরু হয় শুনানি। শুনানিতে ৪২টি পক্ষের ২০০-র বেশি আইনজীবী অংশ নেন।



শুরুতেই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা অনুরোধ জানান, এদিনের সময় অনেকটা পেরিয়ে জায়ায় মঙ্গলবার কিংবা বৃহস্পতিবার যদি শুনানির হয়। তবে প্রধান বিচারপরি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই শুনানির দিকে চেয়ে রয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষ। তাই আজই শুনানি হবে। এরপরেই তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই (CBI)।


ধৃত সঞ্জয় রায় এবং নিহত তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে ফোন কিংবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কথা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। প্রধান বিচারপতি জানান, সিবিআই তদন্তে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। আরও একটু তদন্ত করতে দেওয়া হোক।


আজ সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেও ফিরিয়ে নিল সিবিআই। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে নতুন কিছু তথ্য এসেছে। সেই নিয়েই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে জেরা করতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু বিচারক সোমবার শুনানির সময় প্রশ্ন তোলেন, কেন জেলে গিয়ে সন্দীপকে জেরা করতে পারবে না সিবিআই? অভিযুক্ত যে সহযোগিতা করবেন না, তা এখনই কী করে বলছেন তদন্তকারীরা? বিচারকের এই প্রশ্ন শুনেই সন্দীপকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন প্রত্যাহার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শেষ পর্যন্ত তাঁরা সন্দীপের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানাল। জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদনও জানায়। বিচারক জানান, আবেদন করার সময় এই ধরনের ভুল যাতে আর না হয়। অন্য দিকে, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী দাবি করেন, যে হেতু সিবিআই তাঁর মক্কেলকে হেফাজতে নিতে নতুন করে আবেদন করেনি, তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।


আজ রাজন্য অভিনীত সিনেমার মুক্তির প্রসঙ্গও ওঠে। আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার বলেন, “আগামিকাল ইউটিউবে এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে একটি ছবি মুক্তি পেতে চলেছে।” এই নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “ছবি মুক্তি বন্ধ করতে চাইলে আইনি পন্থা নিতে হবে।”


আর জি কর মামলার শুনানিতে সাগর দত্ত মেডিক্যালে হামলার প্রসঙ্গ তোলেন আইনজীবী করুণা নন্দী। পুলিশের সামনেই চিকিৎসকদের উপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। সাগর দত্তে হামলার ঘটনায় যারা যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে রাজ্যের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেই জানান প্রধান বিচারপতি।