আরজি করের নির্যাতিতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দুর্গাপূজা ও কালীপূজার খুঁটি পুজো 

Khuti puja


শরৎকাল শুরু হতে না হতেই বাঙালি বাড়িতে শুরু হয়ে যায় মা দুর্গার আগমনের তোরজোর। যদিও তার মধ্যেই পাওয়া গেল দুর্গাপুজোর গন্ধ। আরেক দিকে দেবী দুর্গার সাথে সাথে চলে শ্যামা মায়ের পুজোর তোড়জোড়ও।



হাতে গোনা ৬০ দিন প্রায় বাকি কালী পুজো। তার আগেই খুঁটি পুজোর মাধ্যমে পুজোর প্রস্তুতি শুরু করলো আরিয়াদহ ঘোষাল পাড়া অধিবাসীবৃন্দ। যারা প্রতিবছর ধুমধাম আকারে সাড়ম্বরে শ্যামা মায়ের আরাধনার আয়োজন করে থাকে। কোন থিমের ধাঁচে নয়। একেবারে সাবেকিয়ানায় বড়মাকে পুজোর আয়োজন করে উদ্যোক্তারা।




দুর্গাপুজোর প্রস্তুতির মাঝেই এখানে কালীপুজোর ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। দিনেরবেলা সকলে ব্যস্ত থাকেন। তাই এখানে কিছুটা ব্যতিক্রমীভাবে ক্লাব সদস্যরা মিলিত হয়ে এদিন রাতে খুঁটিপুজো করেন। ঢাক বাজিয়ে ও পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে পুজোর সূচনা হয়। কামারহাটি পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ঘোষাল পাড়া এলাকায় আরিয়াদহ ঘোষাল পাড়া অধিবাসীবৃন্দ রিলিফ ফান্ডের পরিচালনায় এ বছরও শ্যামা মায়ের পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। তবে এদিন খুব সমস্ত নিয়ম নিষ্ঠা মেনে খুঁটি পূজার মাধ্যমে পূজোর সূচনা করা হলেও আর জি কর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের নির্যাতিতা খুনের ঘটনার নির্মমতার প্রতিবাদেও প্রথমে মোমবাতি জ্বালিয়ে নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে নির্যাতিতাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। পরবর্তীতে এলাকার মানুষদের জন্য উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টায় প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থাও করা হয়।


প্রতিবছর এই পুজোকে কেন্দ্র করে নানা রকম সামাজিক কর্মসূচি পালনে সচেষ্ট হয়ে থাকে আড়িয়াদহ ঘোষাল পাড়া অধিবাসীবৃন্দ রিলিফ ফান্ডের সদস্যরা। কেউ একদম নতুন প্রজন্মের তরুন যুবক। আবার কেউ প্রবীণ বৃদ্ধ। সব বয়সী উদ্যোক্তারা একজোট হয়ে হাতে হাত মিলিয়ে তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সমাজের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশে ছাতা হয়ে বাঁচার রসদ জোগান। 


এদিন খুঁটি পুজোর মধ্য দিয়ে পূজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। যে পুজোতে এলাকার মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে সকলে সামিল হন। এই দিনের এই কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন কামারহাটি পৌরসভার কাউন্সিলর দীপাংশু ঘোষাল সহ এলাকার বহু প্রবীণ ব্যক্তিত্বরাও।