ভূতনিতে ভেঙ্গে গেছে গঙ্গার বাঁধ, প্রায় ২০ দিন থেকে লক্ষাধীক মানুষ বানভাসি
প্রায় লক্ষাধীক মানুষ বানভাসি। স্থানীয় মানুষজনের অভিজ্ঞতায়, ১৯৯৮ সালের পর এরকম ভয়াবহ বন্যা ভূতনিবাসী দেখেনি। না আছে যথেষ্ট খাদ্যের বন্দোবস্ত, না আছে ন্যুনতম স্বাস্থ্যকর বাসস্থান, তারা এখন একপ্রকার ঘরছাড়া।
ভেঙে গিয়েছে গঙ্গার চর ঘিরে গোলাকৃতি বাঁধ। আর তাতেই এই বিপত্তি। নদীর জল হুহু করে প্রবেশ করেছে মালদার মানিকচকের ভূতনির চরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। কোথাও কোমর সমান, কোথাও আবার বুক সমান জল। ঘরের চাল পর্যন্ত উঠে গেছে জল।
জলমগ্ন এই অবস্থা চলছে প্রায় দিন ২০ ধরে। ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন এলাকাবাসীরা। এরই মধ্যে উঠছে ত্রাণ সামগ্রী লুঠের অভিযোগ। তা নিয়ে রাজনীতির চাপানউতরও শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধীর। এদিকে গতকাল, শনিবার নৌকায় চেপে ভূতনির জলমগ্ন পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন মালদার জেলাশাসক নিতিন সিংঘানিয়া।
জানাগেছে, মালদার এই এলাকায় গঙ্গার মূল বাঁধ ভেঙেছিল বছর দুয়েক আগেই। এর পর সেচ দফতর থেকে একটি অস্থায়ী রিং বাঁধ বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গত ১১ আগস্ট সেটিও ভেঙে যায়। তার পর থেকেই জল প্রবেশ করতে শুরু করেছিল ভূতনিতে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত।
উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অবস্থা সবথেকে খারাপ, গোটা গ্রাম দৃশ্যত জলমগ্ন। দক্ষিণ চণ্ডিপুর ও হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেরও বেশিরভাগ এলাকাই জলের তলায়।
জানা গিয়েছে মালদা জেলা প্রশাসনের তরফে ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে জলমগ্ন এলাকার মানুষজনের থাকার জন্য। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধের উপর। তবে ত্রাণের অভাব রয়েছে প্রচন্ড।
এমতাবস্থায় বিভিন্ন স্বেচ্ছসেবী সংগঠনকে এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে। মালদা কলেজের জাতীয় সেবা প্রকল্প ইউনিট ত্রানের ব্যবস্থা শুরু করে দিয়েছে। মালদা কলেজের জাতীয় সেবা প্রকল্প ইউনিটের প্রোগ্রাম অফিসার জানান- "আপনারা সকলেই ভূতনিবাসীর এই ভয়াবহ দুর্দিনের বিষয়ে ইতিমধ্যে জানেন। তাদের দুর্দশায় সমব্যথী হয়ে মালদা কলেজের জাতীয় সেবা প্রকল্পের ভলান্টিয়াররা এই বছরেও উদ্যোগ নিয়েছে গতবছরের মতো যথাসম্ভব ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ভূতনিতে পৌছে যেতে। "
0 মন্তব্যসমূহ
thanks