বিয়ের ৫ মাস, স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে
বিবাহ হবার পাঁচ মাসের মধ্যেই গৃহবধূকে গায়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল গৃহবধূর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এমনি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দায়ের করেছে জামালপুর থানায়। ওই গৃহবধুর বাপের বাড়ির লোকজন অভিযোগ দায়ের করেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল তথা মঙ্গলবার সকালে জামালপুরে জাড়গ্রাম এলাকায়। গৃহবধুর নাম সায়ন্তিকা সাঁতরা। গতকাল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে। মঙ্গলবার রাতেই বধূকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা সবিস্তার উল্লেখিতভাবে জামালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে গৃহবধুর মা।
গৃহবধুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওরপুর নিবাসী সায়ন্তিকা পালের সাথে গত বছরের ফাল্গুন মাসের ২৭ তারিখে বিবাহ হয় জাড়গ্রাম নিবাসী প্রসেনজিৎ সাঁতরার সাথে। ওই ঘটনায় প্রসেনজিৎ সাঁতরার পরিবারের লোকজন সায়ন্তিকা কে পন দেওয়া না দেওয়াকে কেন্দ্র করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন কটুক্তি করত। মাঝে মধ্যেই ওই গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দিত। গত ১২দিন আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই সায়ন্তিকাকে তার বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয় নিয়ে বাক-বিতণ্ডা তৈরি হয় শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে। সায়ন্তিকার স্বামী তথা প্রসেনজিৎ তার বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। হঠাৎই গতকাল সকালে শ্বশুরবাড়ি লোকজন গৃহবধুর বাপের বাড়ির লোকজনদের ফোন করে বলে আগুনে পুড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে গেছে, দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, পরিবারের লোকজন ছুটে আসে সায়ন্তিকার শ্বশুরবাড়িতে, তড়িঘড়ি উদ্ধার করে গৃহবধূকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথেই মৃত্যু হয়েছে বলে ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন জানায়। হাসপাতালে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ মর্গে বুধবার ময়নাতদন্ত করা হবে বলে পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনা বিষয় নিয়ে জামালপুর থানা লিখিত অভিযোগ দায়েরের ভিত্তিতেই গতকাল রাতেই ওই গৃহবধূর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জামালপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে পরিবার সূত্রেও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ। গ্রেফতার হয়েছে দুজন স্বামী প্রসেনজিৎ সাঁতরা ও জা সোমা সাঁতরা।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊