আর জি কর এর ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে সামিল বাংলাদেশের নারীরা 

r g kar



আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের(RG Kar Doctor Death) পর সপ্তাহ পার। এখনও ফুঁসছে গোটা দেশ। প্রতিবাদে শামিল সকলে। ওপার বাংলাতেও আছড়ে পড়ল প্রতিবাদের ঢেউ। বাংলাদেশের নারীরাও 'আওয়াজ তুললো' এই ঘটনার প্রতিবাদে।


এসময় শিক্ষার্থীরা - ‘কলকাতা টু বাংলাদেশ, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘জাস্টিস ফর আর জি কর, জাস্টিস ফর মৌমিতা’, ‘ধর্ষকের শাস্তি একটাই, মৃত্যুদণ্ড ছাড়া কথা নাই’, ‘প্রশ্ন যখন স্বাধীনতা,বাংলা জুড়ে ওয়াদ্দেদা’ ইত্যাদি লেখা প্লেকার্ড প্রদর্শন করেন।

ঢাকা টাইমসে প্রকাশিত খবর অনুসারে, শুক্রবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘আওয়াজ তোলো নারী’ এর ব্যানারে এ মানববন্ধন করেন তারা। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ধর্ষণের ঘটনার পর মেডিক্যালে ঢুকে ধ্বংস যজ্ঞ চালিয়ে সকল ধরনের প্রমাণ ধ্বংস করা হয়৷ বাহিরের কথা বাদ দিলেও, আমাদের দেশে তনু, মুনিয়ার বিষয়েও আমরা কোনো বিচার পাইনি। সাড়ে চার হাজার ধর্ষণ মামলার মধ্যে হাতে গোনা চার পাঁচ টা মামলার বিচার হয়েছে। আমাদের দাবি,স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা যেখানে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, সেখানে নারীদের জন্য বিচার চাই,আইন ও তার প্রয়োগ চাই।'

নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আলেয়া তাহমিম বলেন, আমরা আজকে বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে ইন্ডিয়ার কথা বলছি, এটা আমার কাছে আইরনি লাগতেছে। সেখানে অন্তত বিচার বিভাগ ও পুলিশের কিছু স্বাধীনতা আছে ধর্ষণের নিরপেক্ষ বিচার করা। কিন্তু গত ১৫ বছর ধরে আমাদের দেশে পুলিশ বা বিচার বিভাগের এই ধরনের স্বাধীনতা ছিল না। আমার জানা মতে কখনোই ছিল না। গত ক্ষমতাসীন সরকার ধর্ষকদের বিচার করার চাইতে শেল্টার দিয়েছে বেশি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লামিশা জামাল বলেন, আমাদের দেশে ধর্ষণের ঘটনা এতোই বেশি যে একটি ঘটনা বলতে গেলে আরেকটি ঘটনা মনে করতে পারি না। সিলেট এমসি কলেজের ধর্ষণের ঘটনায় নিউজ দেখলাম, সেখানে চারটি নিউজ চার রকম। কিন্তু কোনোটাই ধর্ষকদের দিয়ে ভালোভাবে লেখা হয়নি। কেনো হচ্ছে এসব? সাড়ে চার হাজার মামলা দাখিল করা মামলা থেকে পাঁচটি মামলার ন্যায়বিচার পায় না। আমাদেরকে বলা হয়, মেয়েদের সেল্ফ ডিফেন্স শিখতে হবে,কারাতে শিখতে হবে। আমাদের এসব বিষয়ে সরকারি, বেসরকারি নানান সেমিনার করা হয়। কিন্তু ছেলেদের নিয়ে কয়টা সেমিনার হয়েছে, যেখানে মেয়েদের শরীরটাকে মেয়েদের শরীর না ভেবে মানুষের শরীর ভাববে,আমি মেয়ে হওয়ার আগে মানুষ। আসুন শুধু আইন ও বিচার বিভাগের দিকে না তাকিয়ে থেকে,নিজ নিজ জায়গায় থেকে আওয়াজ তুলি ধর্ষকদের বিরুদ্ধে, হেনস্তারকারীদের বিরুদ্ধে।