Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

জল কিনে ধান চাষে বাধ্য জলপাইগুড়ির কৃষকরা, বিপর্যস্ত জীবন-জীবিকা

জল কিনে ধান চাষে বাধ্য জলপাইগুড়ির কৃষকরা, বিপর্যস্ত জীবন-জীবিকা

Farmers of Jalpaiguri forced to buy water to cultivate paddy, livelihoods disrupted


জলপাইগুড়ি, ১০ই জুলাই, ২০২৫: তীব্র গরম এবং অনাবৃষ্টির কারণে মাঠ শুকিয়ে কাঠ। আষাঢ় মাস প্রায় শেষ হতে চললেও পর্যাপ্ত বৃষ্টির দেখা নেই। এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গ, বিশেষ করে জলপাইগুড়ি জেলার গ্রামীণ এলাকাগুলিতে কৃষকরা চরম সংকটে পড়েছেন। ধানের চারা বাঁচাতে এখন সেচের জল কিনে চাষাবাদ করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা, যা তাদের উৎপাদন খরচ বহুগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

গত বছরগুলোর তুলনায় এবার বর্ষা নির্ধারিত সময়ের ৯ দিন আগেই দেশে প্রবেশ করেছিল। আবহাওয়া দফতরের এই পূর্বাভাসে জলপাইগুড়ি জেলার কৃষককুল ভালো ফলনের আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু আষাঢ়ের এক একটি দিন পেরিয়ে গেলেও প্রকৃতি তার উদারতা দেখাচ্ছে না। সময় অনুসারে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হচ্ছে না, যার ফলে বীজতলায় ধানের চারা তৈরি হয়ে থাকলেও মূল জমিতে জল না থাকায় ধান চাষ থমকে গেছে। রোপা ধান রোপণ করা সম্ভব হচ্ছে না, এবং যেটুকু চারা লাগানো হয়েছিল, সেগুলো জলের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এই আশঙ্কাজনক দৃশ্য জলপাইগুড়ির বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকার। কৃষকরা এখন নিরুপায় হয়ে পাম্প সেট বা সেচের মাধ্যমে জল কিনেই ধানের চারা রোপণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। একজন কৃষক আক্ষেপ করে বলেন, "যা অবস্থা, বৃষ্টি হচ্ছে না। যে কারণে বাধ্য হয়েই পাম্প সেট বা সেচের জল কিনেই ধানের চারা রোপণ করা হচ্ছে।" জলের জন্য অতিরিক্ত খরচ তাদের আয়ের উপর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

কৃষক মহলে এখন 'গেলো গেলো' রব উঠেছে। একদিকে অতিরিক্ত গরম, অন্যদিকে বৃষ্টির অভাব – এই জোড়া ফলায় তাদের জীবন-জীবিকা বিপর্যস্ত হওয়ার মুখে। যদি দ্রুত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হয়, তাহলে ধানের উৎপাদনে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা খাদ্য নিরাপত্তার ওপরও প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code