কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এর দুর্ঘটনার পর এই ভাঙলো ঘুম? চালকদের জন্য খোলা হলে বিশেষ বিশ্রাম কক্ষ
একের পর এক অভিযোগ উঠছিল রেলের বিরুদ্ধে। চালকদের ঘুম হচ্ছে না, বিশ্রাম পাচ্ছেন না তাঁরা। এরপরই নড়েচড়ে বসল রেল। চালকদের জন্য আলাদা ভাবে ব্যবস্থা করা হল বিশ্রাম কক্ষের। শিয়ালদহ স্টেশনের মেন শাখার উপরে অর্থাৎ তিনতলায় এই বিশ্রাম কক্ষ তৈরি করা হয়েছে।
রেল সূত্রে খবর, এতদিন ডরমেটরি কক্ষ ছিল। সেখানেই থাকতেন চালকরা। ছিল না কোনও বাতানুকূল যন্ত্র। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেন চালিয়ে এসে গরমের মধ্যে চালকদের ঘুমোতে হত। এমনকী,মনঃসংযোগ যাতে সঠিক থাকে তার জন্য ছিল না কোনও ব্যবস্থা। এবার পূর্ব রেলের তরফ মোট ৮টি বিশ্রাম কক্ষ করা হল। এক একটি কক্ষে ২টি করে বিছানা রয়েছে। মোট ১৬ টি পুরুষ চালকদের জন্য। ৮টি বিছানা রয়েছে মহিলা চালকদের জন্য। তাঁদের রুম সম্পূর্ণ আলাদা। অত্যাধুনিক এসি মেশিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে ওই বিশ্রাম কক্ষগুলি সর্বদা ঠান্ডা থাকে। এছাড়া মনোসংযোগ সঠিক রাখার জন্য আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে বসে যোগ ব্যায়াম করতে পারবেন চালকরা। তৈরি করা হয়েছে নতুন রিডিং রুম। সেখানে বই রাখা হয়েছে। চালকদের রান্নাঘর এবং খাবারের জায়গা সম্পূর্ণভাবে ভোল পাল্টে ফেলা হয়েছে।
তবে সব থেকে আধুনিক ব্যবস্থা করা হয়েছে, চালকদের যেখানে অ্যাটেনডেন্স দিতে হয় সেই ঘর। সেখানে অত্যাধুনিক মেশিনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেখানে বায়োমেট্রিক ছাপ দিয়ে উপস্থিতির তথ্য দিতে হবে চালকদের। এমনকী,মেশিনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে অ্যালকোহল টেস্টের ব্যবস্থা। মেশিনগুলির উপরে থাকছে একটি করে স্ট্র। যেগুলি মেশিনের একটি নির্দিষ্ট অংশে ঢুকিয়ে চালকদের মুখ দিয়ে ফুঁ দিতে হচ্ছে। যেখানে পরীক্ষা করলেই চালু করা মদ খেয়ে ট্রেন চালাতে আসছেন কি না সেটা পরীক্ষা হয়ে যাচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊