ভাসুরের সাথে না থাকায়,ভাইয়ের বৌ-কে খুন হোটেলে! চাঞ্চল্য এলাকাজুড়ে

Murder


সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান:-

ভাসুরের সাথে না থাকায়,ভাইয়ের বৌয়ের শ্বাস রোদ করে খুন করার অভিযোগে উঠলো ভাসুরের বিরুদ্ধে। পলাতক ভাসুর মহম্মদ নজরুল খান।বাড়ি বর্ধমানের খাগড়গড় এলাকায়।

বর্ধমানের মনিমাঠ এলাকার একটি হোটেল থেকে পায়েল বেগম নামে এক মহিলার দেহ উদ্ধার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। মহিলার দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় গোটা এলাকা জুড়ে। এই ঘটনায় জড়িত মহম্মদ নজরুল খানকে এখনো পর্যন্ত গ্ৰেফতার করতে পারেনি বর্ধমান থানার পুলিশ।এই ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের লোকজন।

মৃতার মা তনিগা খাতুন বলেন নজরুল খানের ছোটো ভাইয়ের সাথে বিয়ে হয়েছিল পায়েলের।প্রায় মাস খানেক আগে পায়েলের স্বামীর মৃত্যু হয়।স্বামীর মৃত্যুর আগে থেকেই ভাসুরের সাথে সম্পর্ক থাকে। ভাইয়ের মৃত্যুর পর ভাসুর নজরুল খানের সাথে বিয়ে হয় পায়েলের। মাসখানেক যেতে না যেতেই ভাসুরের সাথে বিয়ের বিচ্ছেদ করে অন্য একজনের সাথে ফের বিয়ে হয় পায়েলের। গতকাল এক বান্ধবীর সাথে স্টেশনের কাছে একটি দোকানে যায়।এর পর থেকে তার আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।সন্ধে নাগাদ তার মৃত্যুর খবর পায় পায়েলের মা তগিনা খাতুন।

এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি হোটেলে ম্যানেজার বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল গোটা ঘটনাকেই চেপে যাবার চেষ্টা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন দুপুর ১টা নাগাদ ১ ঘণ্টার জন্য ঘর ভাড়া নেন বর্ধমানের খাগড়গড় এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ নজরুল খান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পায়েল বেগম (৩৬) । তাঁরা ১নং রুম বুক করেন। এরপর যথারীতি দুজনেই ঘরে চলে যান।

বিকাশ মণ্ডল পুলিশকে জানিয়েছেন, ১ ঘণ্টা পার হবার পর তিনি হোটেলের এক কর্মীকে পাঠান ওই ঘরে। সেই হোটেল কর্মীই প্রথম দেখেন ঘরে বিছানার ওপর গলায় ওড়নার ফাঁসে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন পায়েল বেগম। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

ঘটনার তদন্তে নেমেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে পায়েল বেগমকে। খুনের পরই চম্পট দেয় তার সঙ্গী।