ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন হেমন্ত সোরেন
ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) এর কার্যনির্বাহী সভাপতি হেমন্ত সোরেন, রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণান তাকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানানোর পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝাড়খণ্ডের 13 তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সোরেন সম্প্রতি প্রায় পাঁচ মাস জেলে থাকার পর জমি কেলেঙ্কারির মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
হেমন্ত সোরেনকে রাঁচির রাজভবনে সিপি রাধাকৃষ্ণন শপথ পড়ান। সোরেনের বাবা এবং জেএমএম সুপ্রিমো শিবু সোরেন, তার মা রূপী সোরেন, স্ত্রী কল্পনা সোরেন এবং জেএমএম নেতৃত্বাধীন জোটের সিনিয়র নেতারা শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শপথ নেওয়ার আগে, হেমন্ত সোরেন X-এ একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছিলেন এবং ক্ষমতার নেশায় মত্ত ব্যক্তিদের (বিজেপির একটি পরোক্ষ উল্লেখ) নিন্দা করেছিলেন যারা তাকে নীরব করার চেষ্টা করেছিলেন। "আজ, ঝাড়খণ্ডের জনগণের জনমত আবার জেগে উঠবে। জয় ঝাড়খণ্ড, জয় হিন্দ," তিনি বলেছিলেন।
"তাঁর বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তিনি একই জায়গা থেকে তার সমর্থকদের জন্য একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। এখন এটি একই জায়গা। একজন উপজাতি কীভাবে একটি লোভনীয় পদে অধিষ্ঠিত হয় তা সরিয়ে নেওয়া অনেকের পক্ষে কঠিন ছিল," যোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
হেমন্ত সোরেন জেলে যাওয়ার পর ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হন হেমন্ত ঘনিষ্ঠ চম্পাই সোরেন। বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনের কাছে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন চম্পই সোরেন। তার পরেই নতুন করে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার জন্য আবেদন জানান হেমন্ত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝাড়খণ্ড প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ ঠাকুর এবং আরজেডি নেতা সত্যানন্দ ভক্তকে নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন হেমন্ত। তার পরে দল ও জোটের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি।
সূত্রের খবর, জেএমএম পরিষদীয় দলের বৈঠকে হেমন্ত সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রী পদে ফেরানোর প্রস্তাব পাশ হয়। যদিও সূত্রের দাবি চম্পাই সোরেন এই সিদ্ধান্তে একটু নারাজ হলেও দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ইস্তফা দিলেন। বর্তমানে জেএমএমের শীর্ষপদে রয়েছেন হেমন্তের বাবা শিবু সোরেন। হেমন্ত দলের কার্যকরী সভাপতি পদে। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন হেমন্ত সোরেন।
গত ৩১ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। গ্রেফতারির আগে নিজের পদ থেকে পদত্যাগ করেন হেমন্ত। এরপর চম্পাই সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রী করে দল। পাঁচ মাস মুখ্যমন্ত্রী পদে দায়িত্ব সামলালেন চম্পাই সোরেন। এদিকে পাঁচ মাস পর গত ২৮ জুন ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের নির্দেশে মুক্তি পান হেমন্ত।
২০০৫ সাল থেকে টানা চার বারের এই জেএমএম বিধায়ক গোটা সিংভূম অঞ্চলের প্রভাবশালী নেতা চম্পাই সোরেন। সেরাইকেলা-খরসঁওয়া জেলার সেরাইকেলা আসনে থেকে জয়ী হয়েছেন তিনি। হেমন্তের বিদায়ী মন্ত্রিসভার পরিবহণ মন্ত্রীর পদে ছিলেন চম্পই।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊