Bangladesh Quota Refrom Movement: সংরক্ষণ সংস্কার আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, মৃত ৬
সংরক্ষণ ব্যবস্থার সংস্কারের দাবীতে বাংলাদেশে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে খবর।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ঢাকার বেশ কয়েকটি এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে শতাধিক আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ঢাকা ট্রিবিউনের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের মধ্যে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিকেল তিনটার দিকে চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। এ সময় কয়েকজন অস্ত্রধারীকে গুলি করতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে হাতবোমার বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
![]() |
Bangladesh Quota Refrom Movement, phot: X |
এখনো পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মো. ফারুক (৩২) ও মো. ওয়াসিম (২২)। ফারুক ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী এবং ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বলে জানা গেছে। এছাড়া অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি। তার বয়স ২৪। তার পিঠে গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এদিকে রাজধানীর ঢাকা কলেজের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে দুইজন নিহত হয়েছেন। তাদের পরিচয় জানা যায়নি। সর্বশেষ সন্ধ্যা ৭টার দিকে আহত একজনকে (৩০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে দুপুরে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। বেলা দুইটার দিকে ওই মিছিলে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এরপর থেকে ওই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
রংপুরেও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত আবু সাঈদ (২২) রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলন সমন্বয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
এদিকে কোটার যৌক্তিক সংস্কার ও আন্দোলনকারীদের উপর হামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ার মজমপুর গেটে কুষ্টিয়া- খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শহরের ৫ রাস্তার মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে মজমপুর গেটে যেয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে তারা। এসময় কোটা সংষ্কার নিয়ে আন্দোলনরত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতশত শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊