বিশ্বভারতী ও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে বিস্ফোরক নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন
শান্তিনিকেতনের 'প্রতীচী' বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ডুংরি প্রকাশনীর 'অমর্ত্য সেন সংখ্যা' -র আবরণ উন্মোচন করেন স্বয়ং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। উপস্থিত ছিলেন, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ জঁ দ্রেজ, ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর, অধ্যাপিকা কল্পিকা মুখোপাধ্যায়, বিশিষ্ট সাংবাদিক দেবদীপ পুরোহিত, অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য, অধ্যাপক সৌম চক্রবর্তী, অধ্যাপক অপূর্ব কুমার চট্টোপাধ্যায় সহ আশ্রমিক ও পড়ুয়ারা৷
পত্রিকার সম্পাদনা করেন অভিষেক দত্ত রায়, প্রকাশক শুভ নাথ৷ সম্পূর্ণ শান্তিনিকেতনী ঘরানায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পত্রিকার উদ্বোধন হয়৷ উদ্বোধনের পর প্রায় ২৫ মিনিট বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক সেন৷ তিনি বলেন, "ভারতবর্ষ একটি সাম্প্রদায়িকতার হাতে পড়বে, এটা আমরা চাই না। সে হিন্দু রাষ্ট্রই হোক বা মুসলমান নবাবই হোক অথবা খ্রিষ্টান রাজত্বই হোক। আমরা চাই যেসব জায়গা থেকে সবকিছু একসঙ্গে হতে পারে। যা রবীন্দ্রনাথের ইচ্ছা ছিল। ” একই সঙ্গে এদিন শান্তিনিকেতনের ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে। তিনি বলেন, “প্রশ্ন হচ্ছে শান্তিনিকেতনের ভবিষ্যৎ কি হবে, এবিষয়ে সুপ্রিয়( ঠাকুর) যতটা ভেবেছেন অতোটা বোধহয় কেউই ভাবেননি। ”
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে নোবেলজয়ী বলেন, “আমরা নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় একটা প্রচেষ্টা করেছিলাম। যাতে চিন কোরিয়া, জাপান ইত্যাদি থেকে পড়াশোনা করতে আসতে পারে পড়ুয়ারা। তাদের পড়াশোনার মান অত্যন্ত ভালো ছিল। সেটা অবশ্য মানার ইচ্ছা সরকারের ছিল না। তার ফলে এটা পরিষ্কার হল যে আমি যদি সেখানে আচার্য হিসেবে থেকে যায় তাহলে নালন্দাতে কোনরকম সাহায্য সরকার থেকে পাওয়া যাবে না। সেই সময় আমি চলে গেলাম, সেই জায়গায় এলেন অন্যজন। তাকে বলা হল তিনি খুব স্বাধীনতা পাবেন। কিন্তু কোন রকম স্বাধীনতাই তাকে দেওয়া হলো না।"
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊