ভোট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে কোচবিহারে বিজেপির বিশেষ প্রতিনিধি দল

victims of post-result violence

কোচবিহার: 

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভের পর লাগাতার সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সোমবার কোচবিহারে আসেন রবি শংকর প্রসাদ প্রাক্তন আইনমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকার, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল, কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যান তারা।

বিশেষ করে সিতাই বিধানসভা এলাকায় সাধারণ মানুষের সাথে কথাবার্তা বলেন । কান্নায় ভেঙে পড়ে কর্মী সমর্থকদের একাংশ। তাদের অভিযোগ, লাগাতার সন্ত্রাস এবং ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটলেও এলাকায় স্থানীয় কোন বিজেপি নেতৃত্বদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। অত্যন্ত আতঙ্কের সঙ্গে দিন কাটাতে হচ্ছে বিজেপি কর্মীদের।

এদিন তাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন নিশীথ প্রামাণিক, কোচবিহারের দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে, কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা জেলা সভাপতি সুকুমার রায় সহ অন্যান্য স্থানীয় নেতৃত্ব।

কোচবিহার জেলা বিজেপি কার্যালয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন এই প্রতিনিধি দল। তারা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি ধিক্কার জানিয়ে বলেন, এই ধরনের সন্ত্রাস ভারতবর্ষের অন্য কোন রাজ্যে কখনো হয়নি। ভোটে হার-জিত থাকতেই পারে তাই বলে সাধারণ মানুষের ওপরে এই ধরনের অত্যাচার কখনোই মেনে নেওয়া যাবে না। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করবেন তারা বলেও জানিয়েছেন এই প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধিরা।

পাশাপাশি এদিন পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধির সাথেও বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন অগ্নিমিত্রা পাল। অভিযোগ এতটাই গুরুতর, অগ্নিমিত্র দেবী সেই প্রতিনিধির মোবাইল ফোন আটকে রাখেন।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রাক্তন সংসদ পার্থ প্রতিম রায় মন্তব্য করে বলেন, বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে কোচবিহারে ভোট পরবর্তী হিংসার পরিদর্শন হলে এর থেকে লজ্জা আর কিছু নেই, কারণ সবাই জানে বিগত নির্বাচনে ত্রিপুরায় কি ধরনের সন্ত্রাস হয়েছিল এবং তৃণমূল কংগ্রেস যখন ২০২১ এবং ২০২২ এ ভোটের কাজে ত্রিপুরায় গিয়েছিল তাদেরকে কিভাবে আক্রমণ করে আক্রান্ত করা হয়েছিল সেটা সকলের জানা, কোচবিহারে যারা নিজেদেরকে ঘরছাড়া বলে দাবি করছেন তারা নিজেরাই আতঙ্কিত হয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন না, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু করার নেই।

পার্থ প্রতিম রায় আরও বলেন, তারা অবশ্যই বাড়িতে আসুক এই বার্তাই তাদেরকে দেওয়া হবে। তারা শুধুমাত্র নাটক করবার জন্য এই ঘটনা করছে, প্রশাসন এর কাছে আবেদন থাকল তাদেরকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার। বাংলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে অত্যন্ত সুরক্ষিত ভাবে রয়েছে। এখানে প্রতিনিধি দলের বিশেষ প্রয়োজন নেই।