এসপি ও ওসিরা তৃণমূলের সভাপতিতে পরিণত হয়েছে: শুভেন্দু অধিকারী
সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান :-
এক একটা জেলার এসপি তৃণমূলের জেলা সভাপতি এবং এক একটা ওসি তৃণমূলের ব্লকের সভাপতিতে পরিণত হয়েছে! রবিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার শহর বর্ধমানে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক থেকে এমনই তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলেন, ভোটের পর থেকে ফলাফল বের হওয়া পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে চুয়াত্তর জন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতাকর্মীরা ঘরছাড়া। রাজ্য পুলিশকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ ডিভিশন বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্ট।
যে ২৬ শে জুন এর মধ্যে প্রটেকশন দিয়ে ঘর ছাড়াদের ঘরে ফেরাতে হবে। আমরা আশা করব হাতে এখনো দুইদিন আছে,সমস্ত ঘরছাড়া দের পুলিশ প্রশাসন ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করবেন। পুলিশ রক্ষক হয়ে ভক্ষকের কাজ করছে, সমস্ত নির্বাচন টাই পুলিশ আর আইপ্যাক- এর লোকেরা করিয়েছে বলেও দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আরো বলেন, আমি ঘর ছাড়াদের তালিকা গোটা রাজ্য থেকে সংগ্রহ করেছি, আমার কাছে তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার নামের তালিকা এসেছে। বর্ধমান থেকেও চুয়াত্তর জনের নাম, মোবাইল নাম্বার, ঠিকানা সহ বিস্তারিত সংগ্রহ করেছি, সব তালিকা আমি হাইকোর্টে পেশ করব।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন এলেই একটা হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়, যেটা ভারতবর্ষের কোথাও হয় না। পাশের রাজ্যে উড়িষ্যায় সরকার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু একটাও কোনো বিরোধী দলের অভিযোগ লক্ষ্য করা যায়নি, উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি অনেকগুলো সিট পেয়েছে কিন্তু কোন বিজেপির কর্মী বা নেতা অভিযোগ করেনি তারা আক্রান্ত হয়েছে, ত্রিপুরা থেকেও কোন অভিযোগ আসেনি, একমাত্র রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ যেখানে কার্যত সরকারি শিলমোহর লাগানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কালো অধ্যায় চিরতরে শেষ হবে আমরা আশা রাখছি বলে বলেন শুভেন্দু।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন রাজ্যের সব জায়গাতেই তৃণমূলের দুটো করে গোষ্ঠী রয়েছে। যেমন এই বর্ধমান শহরে খোকন দাস গোষ্ঠী এবং রাসবিহারী গোষ্ঠী রয়েছে এটা সবাই জানেন।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊