পিছিয়ে থাকার জের, দুই অঞ্চল সভাপতিকে সড়ালো জেলা সভাপতি

Birbhum trinimool


লোকসভা নির্বাচনে নানুর বিধানসভাকেন্দ্রের দুটি অঞ্চলে তৃণমূল ব্যাপকভাবে হেরেছে । সেই দুই পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতিকে পদ থেকে সরিয়ে দিল নানুর তৃণমূল ব্লক কমিটি ।

লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে বেরিয়ে বীরভূম জেলাপরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ বলেছিলেন যে সমস্ত অঞ্চলে ও বুথে তৃণমূল পিছিয়ে থাকবে তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে । নানুরের দুটি অঞ্চল সভাপতিকে অঞ্চল সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করলো নানুর তৃণমূল ব্লক কমিটি ।

নানুর বিধানসভাকেন্দ্রের ১৭টি অঞ্চলের প্রধান ও উপপ্রধান অঞ্চল সভাপতিদের নিয়ে কীর্নাহার কল্লোল ভবনে বৈঠকে প্রকাশ্য মঞ্চে দাঁড়িয়ে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ কীর্নাহার একনং অঞ্চল সভাপতি এবং দাসকলগ্রাম করেয়া একনং অঞ্চল সভাপতিকে তাদের পর থেকে বহিষ্কার করেন । লোকসভা নির্বাচনে কীর্নাহার একনং অঞ্চল থেকে ১৯৭৩ ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল । দাসকলগ্রাম করিয়া একনং অঞ্চল থেকে ৭৫০ ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল । নানুরের এই দুটি অঞ্চলে তৃণমূল পিছিয়ে থাকার কারণে দুই অঞ্চল সভাপতিকে তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয় । এই দুটি অঞ্চলে খুব শীঘ্রই অঞ্চল সভাপতি বাছাই করা হবে বলে জানা যায় ।

দলের সিদ্ধান্তকে মাথা পেতে নিলেন কীর্নাহার এক নাম্বার অঞ্চল সভাপতি ইন্দ্রজিৎ দাস। বীরভূম জেলাপরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ বলেন, "নানুর বিধানসভাকেন্দ্রের ১৭ টা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত দাসকলগ্রাম ১ ও কীর্নাহার ১ নাম্বার অঞ্চলে তৃণমূল লিড দিতে পারেনি তৃণমূল পিছিয়ে আছে তার জন্য দুটি অঞ্চলের অঞ্চল কমিটিকে অব্যাহতি দেওয়া হল । তবে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়নি । তাদের পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল । তাদের সঙ্গে নিয়ে প্রত্যেকটা বুথে বুথে গিয়ে পর্যালোচনা করব কি কারণে পিছিয়ে আছি তারপর ওই দুটি অঞ্চলে অঞ্চল সভাপতি ঠিক করা হবে ।"