WBSEDCL: কর্মী নেই ! তিনদিন ধরে অন্ধকারে দিনহাটা ২ নং ব্লকের বিস্তির্ণ এলাকা

WBSEDCL



WBSEDCLদিনহাটায় বিদ্যুতের তারে জল পড়লেই চলে যায় বিদ্যুৎ, এমন অভিযোগের মাঝেই রিমেলের ঝোড়ো হাওয়ায় দিনহাটা ২ নং ব্লকের বিস্তির্ণ এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। তারপর দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ পরিষেবা বেহাল হয়ে পড়ে। কিছু সময়ের জন্য ঠিক হলেও কয়েকদিন ধরে অন্ধকারে ডুবে থাকে এলাকার পর এলাকা। দুর্বিষহ হয়ে উঠে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা।

আজ সহ্যের বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় নিগমনগরে পথ অবরোধে নামে গ্রামবাসী। শুক্রবার সকাল আনুমানিক দশটা নাগাদ দিনহাটা চৌধুরীহাটগামী মূল রাস্তার নিগমনগরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে স্থানীয় গ্রামবাসীরা।

তাদের অভিযোগ মাঝেমধ্যেই এলাকায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকতে হয়, বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা মেলে না। গত তিন দিন ধরে সঠিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই, এমনকি গতকাল রাত আটটা থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। সেই কারণে বিদ্যুৎ দফতরের বেহাল বিদ্যুৎ পরিষেবাকে উন্নত করে সঠিক বিদ্যুৎ পরিষেবার দাবিতে এই পথ অবরোধে সামিল হয় গ্রামবাসীরা।

পথ অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দিনহাটা থানার পুলিশ। তবে পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে গ্রামবাসীরা কোন সুরাহা না দেখায় তারা পথ অবরোধ চালিয়ে যান। পথ অবরোধের জেরে সমস্যায় পরে দিনহাটা চৌধুরীহাট গামী রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী নিত্য যাত্রীরা, আটকে পড়ে বেশ কিছু গাড়ি।

এরপর দিনহাটা বিদ্যুৎ বণ্টন দপ্তরের তরফে আধিকারিকরা পৌঁছালে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে গ্রামবাসীরা। অবশেষে সঠিক ভাবে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেবার অঙ্গীকার করে গ্রামবাসীদের লিখিত ভাবে মুচলেকা দেন দিনহাটা বিদ্যুৎ বণ্টন দপ্তরের এক আধিকারিক। এরপর গ্রামবাসীরা দুপুর বারোটা নাগাদ পথ অবরোধ তুলে নেন।

এই বিষয়ে দিনহাটা বিদ্যুৎ বণ্টন অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার দীপঙ্কর বৈরাগ্য বলেন- আমাদের কাছে যতটা খবর আছে তাতে প্রায় ৩৫০ পোল ভেঙ্গে গেছে। সবাইকে কাজে নামানো হয়েছে। তবে ইলেকট্রিকের কাজ, তাই আনস্কিলড লোক দিয়ে কাজ করানো যায় না। কোচবিহার থেকে চেয়ে চেয়ে একটা টিম আনানো হয়েছে, তারা গত তিনদিন থেকে কাজ করছে।"