বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আজিমগঞ্জে জংশনে ডেপুটেশন একাধিক রেল সংগঠনের

Ajimgang junction


বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আজিমগঞ্জ জংশন রেল স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজারের কাছে ডেপুটেশন দিল একাধিক অরাজনৈতিক রেল সংগঠন। বৃহস্পতিবার আজিমগঞ্জ জংশন রেল স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজারের মাধ্যমে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার, ডি. আর. এম. হাওড়া সহ বেশ কিছু রেলের একাধিক উচ্চ দপ্তরে ও বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির কাছে বেশ কিছু দাবি-দাওয়া এবং প্রস্তাব পেশ করা হয় ও ভবিষ্যতে আস্তে আস্তে বাকি সকলকে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।


মূলত নসিপুর আজিমগঞ্জ রেলব্রিজ দিয়ে দ্রুত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল, বিভিন্ন দূরপাল্লার যাত্রীবাহী ট্রেনকে নসিপুর রেল ব্রিজের উপর দিয়ে মুর্শিদাবাদ থেকে আজিমগঞ্জ জংশন হয়ে চালানো, আজিমগঞ্জ জংশন জঙ্গি পুর কাটোয়া নবদ্বীপ হয়ে অমৃত ভারত ট্রেন চালানো, নসিপুর রেল ব্রিজের নামকরণ এ.আর. খানের নামে, নশীপুর রোড স্টেশনকে পুনরায় চালু করা সহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আজিমগঞ্জ জিয়াগঞ্জ রেল যাত্রী ও নাগরিক মঞ্চ, মুর্শিদাবাদ রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন, জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়। 



আজিমগঞ্জ জিয়াগঞ্জ রেল যাত্রী ও নাগরিক মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অধ্যাপক (ড.) রাজা ঘোষ বলেন রামপুরহাট দিয়ে ১ বছর আগেও ১১ জোড়া (আপ ও ডাউন) দক্ষিণ ভারতের ট্রেন চলতো, অথচ জঙ্গিপুর, আজিমগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ, বহরমপুর, কৃষ্ণনগর অথবা জঙ্গিপুর, আজিমগঞ্জ, কাটোয়া, নবদ্বীপ ধাম দিয়ে ১ টিও দক্ষিণ ভারতের (বিশেষ করে ব্যাঙালুরু, চেন্নাই) ট্রেন ছিল না। আমাদের ও আমাদের সহযোগী সংগঠন থেকে অমৃত ভারত ট্রেনের দাবী ও দেওয়া হয়, কিন্তু সেই ট্রেন টিও রামপুরহাট দিয়ে দেওয়া হলো, ফলতই বর্তমানে রামপুরহাট দিয়ে ১২ জোড়া (আপ ও ডাউন) দক্ষিণ ভারতের ট্রেন রয়েছে যেখানে জঙ্গিপুর, আজিমগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ, বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, কাটোয়া, নবদ্বীপ ধাম দিয়ে ১ টিও দক্ষিণ ভারতের ট্রেন নেই। দুঃখের ব্যাপার মুর্শিদাবাদ, নদীয়া জেলার দক্ষিণ ভারতে যাওয়ার পরিযায়ী শ্রমিক, বিভিন্ন ধরনের রোগী (গুরুতর রোগঘঠিত রোগী), ধর্ম স্থানে র পর্যটক বীরভূম জেলার তথা রামপুরহাটের তুলনায় অনেক বেশি। 



মুর্শিদাবাদ রেল প্যাসেঞ্জার এসোসিয়েশনের সম্পাদক ড. এ. আর. সরকার বলেন 'আমরা আর ১ মাস সময় অপেক্ষা করব, এর পরেও নশীপুর সেতু দিয় রেল চালু না হলে আমরা শান্তি পূর্নভাবে অনশন শুরু করব'। জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন এই দুই অরাজনৈতিক রেল যাত্রী সংগঠনের কর্মসূচি কে আমরা সক্রিয় ভাবে সমর্থন করব। এছাড়াও জি. আর. পি. এস, আজিমগঞ্জ কেও মেমোরেন্ডাম দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে আজিমগঞ্জ জিয়াগঞ্জ রেল যাত্রী ও নাগরিক মঞ্চের সদস্য বলেন অনেক সময় লাইনের আশে পাশে বা বাধ্য হয়ে লাইন পারাপার করা যাত্রী দের থেকে অনৈতিক ভাবে টাকা নেওয়া হয় যদিও কোন চালান বা রিসিপ্ট কপি দেওয়া হয় না। আবার আজিমগঞ্জ জংশনের উত্তর দিকের ফুট ওভার ব্রীজের কাজ প্রায় দেড় বছর থেকে চালু হলেও তা শেষ করা যায় নি, আবার ৬ নম্বর প্লাটফর্মে টিকিট কাউন্টার চালু করতে জংশন স্টেশন পারে নি, এটাও একটি কারন যার কারনে সাধারণ যাত্রীরা রেল লাইন পারাপারে বাধ্য হয়। 


এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুভাষ পান্ডে, ছোটন গোস্বামী, কার্যকরী সভাপতি সাদেরুল আমিন, শিলন সাহেব, অরুনাশীষ ভট্টাচার্য, বিধান বিশ্বাস, দ্বিজেন্দ্র নাথ সরকার, শঙ্কর হাজরা, বাপি গুহ, আজিমগঞ্জ উপদেষ্টা মন্ভলীর সদস্য, পার্থ ঘোষ
ধনঞ্জয় হালদারতাপস মন্ডল, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য। 
শেখ হাসানুজ্জামান" এরাও উপস্থিত ছিলেন লিখতে হবে