ইলেকট্রিক ফেন্সিং দিয়ে হাতি আটকাতেই বাড়ছে রাগ ! ক্ষিপ্ত হয়ে হানা দিচ্ছে গ্রামে!
উত্তরের বিশেষত জলপাইগুড়ি জেলায় বন্য প্রাণ ও মানুষের সংঘাত এড়াতে বন বিভাগের আধুনিক ব্যবস্থাকেই কার্যত দায়ী করলেন বৈকুণ্ঠ পূর বনাঞ্চল লাগোয়া মোরঙ্গা ঝোরা গ্রামের প্রবীণ নাগরীক তথা দীর্ঘ ১৮ বছর ফরেস্ট প্রটেকশন কমিটির সদস্য থাকা কালু রায়।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে জঙ্গল আর জনপদের মাঝে ছিলো এলিফেন্ট ড্রেনেজ বা গভীর নালা, কিন্তু যেদিন থেকে হাতির চলাচল আটকাতে লাগানো হলো ইলেকট্রিক ফেন্সিং সেই থেকেই বেড়ে গেলো হাতির ক্রোধ,বিদ্যুতের শক লাগার পরেই ক্ষেপে যায় হাতির দল, হানা দেয় গ্রামে।
বৈকুণ্ঠ পূর বনাঞ্চলের একটি বড় অংশ জুড়ে গড়ে উঠেছে বিস্তীর্ণ জনপদ, জীবন জীবিকার তাগিদে একদিকে যেমন মানুষ করে চলেছে চাষবাস থেকে অন্যান্য কৃষি ভিত্তিক নানান কর্মকাণ্ড, অপরদিকে ক্রমশ জঙ্গলে খাদ্য ও পানীয় জলের অভাব মেটাতে বনাঞ্চল লাগোয়া জনপদমুখী হচ্ছে হাতি সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণ, এই কারণেই বাড়ছে সংঘাত।
সম্প্রতি এই অঞ্চলের নধাবাড়ি গ্রামে ঘরের পাসেই শুকনো ডাল পালা জোগাড় করতে গিয়ে হাতির মুখোমুখি হয়ে মৃত্যু হয়েছে বছর পঁচিশের বিউটি রায়ের, মাতৃ হারা হয়েছে দুধের শিশু খোকন।
আজও বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে নামলেই হাতির আগমনের ভয়ে নিঃস্তব্ধ হয়ে যায় গ্রাম, শুধু ভেসে আসে সদ্য মাতৃ হারা খোকনের কান্নার আওয়াজ।
হাতির আক্রমণে দিশেহারা আরেক গৃহবধূ রোহিনী রায়, বলেন, রাত হলেই ভয়ে ঘরের মধ্যে পরিবার নিয়ে আতংকে কাটে সময়, কারন যতদিন যাচ্ছে বাড়ছে ঠাকুরের (হাতি)রাগ, বন বিভাগকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি, দিনকয়েক আগেই আমার এক আত্মীয়কে মেরেছে হাতি।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊