দুয়ারে ভোট, ভোট প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে তৃণমুল কাউন্সিলর

public

দুয়ারে ভোট, নাগরীক পরিষেবা না পেয়ে বিক্ষোভের মুখে তৃণমুল কাউন্সিলর, ভোট বিধির দোহাই দিলেন ঘেরাও কাউন্সিলর। রবিবার সাত সকালেই এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে।

এই ওয়ার্ডের পৌর নাগরিকদের অভিযোগ দীর্ঘ সময় ধরে কাউন্সিলরকে এলাকার রাস্তাঘাট, পানীয় জলের সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও সুরাহা না হওয়ার কারণে আজ অরাজনৈতিক ভাবে এলাকাবাসীরা মিলে রিতিমত ঘেরাও করে সংশ্লিষ্ঠ সমস্যা সম্পর্কে ওনার দৃষ্টি আকর্ষন করলাম।

উল্লেখ্য,জলপাইগুড়ি পৌরসভার এই তিন নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যেই রয়েছে জেলা স্কুল সহ, সরকারী অফিস এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের বসবাস। গত রবিবারের কালবৈশাখী ঝড়েও এই ওয়ার্ডের অনেকের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো।

সেই নিয়েও ত্রান না পেয়ে এবং পৌর প্রতিনিধির নিম্নতম খোঁজ খবর টুকু না নেওয়ার অভিযোগে কথা বলতে শোনা যায় রবিবারের ঘেরাও বিক্ষোভে। এই প্রসঙ্গে তিন নম্বর ওয়ার্ডের ওপর এক নাগরীক শুভাশিস ভট্টাচার্য জানান,অনেক দিন থেকেই ওনাকে জানানো হচ্ছে,আমাদের সমস্যায় বিষয়গুলো, কিন্তু কোনো সুরাহা হচ্ছে না।

সম্প্রতি যে ঝড় হয়ে গেছে, তাতে বিদুতের তার খুঁটি গুলো পরে যাওয়ায় দীর্ঘ সময় আমাদের অন্ধকারে কাটাতে হয়েছে, এলাকার রাস্তাঘাটের যা অবস্থা প্রবীণ নাগরিকেরা পথ দিয়ে চলতে গিয়ে পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছেন। কিন্তু কোনো হেলদোল নেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের, আজ তাই আমরা বাধ্য হয়ে ঘেরাও করে আমাদের সমস্যার কথা গুলো লিখিত ভাবে জানিয়ে দিলাম, এরপরেও যদি সুরাহা না হয় সমস্যার তাহলে আমাদের অন্য চিন্তা ভাবনা করতে হবে।

যদিও এই বিষয়ে তিন নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমুল কাউন্সিলর স্বরূপ মঙ্গল নিজের সাফাই দিতে গিয়ে বলেন, ঝড়ের সময় আমরা দ্রুত ব্যাবস্থা নিয়েছি, আর ওনারা আমাকে পাঁচ বছরের জন্য ভোটে জিতিয়েছেন, মাত্র দু বছর হলো, পাঁচ বছরের কাজ তো দু বছরে করা যাবে না, তাছাড়া এখন নির্বাচনি বিধিনিষেধ রয়েছে।