মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঘের হামলায় গুরুতর জখম মউল



সুন্দরবন:

বনদপ্তরের পক্ষ থেকে সুন্দরবনের মধু সংগ্রহ করার জন্য ইতিমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়ার কাজ শেষ। জীবন জীবিকার টানে সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকার মানুষজনেরা সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করার জন্য ইতিমধ্যেই পাড়ি দিচ্ছেন কয়েকদিন ধরেই। সুন্দরবনের ঘন জঙ্গলে ওৎ পেতে থাকে সাক্ষাৎ মৃত্যু। তবুও পেটের টানে বনবিবিকে স্মরণ করে জঙ্গলে ছোটেন বহু মউল । 


শনিবার সুন্দরবনের মৈপিঠের ভুবনেশ্বরী গ্রাম থেকে পাঁচজনের একটি দল সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। ২০ নম্বর জঙ্গলে মৌমাছির চাক কেটে মধু সংগ্রহ করার কাজ করছিলেন পাঁচজন । কাজ করার সময় হঠাৎই জঙ্গল থেকে বার হয়ে এক মউলের উপর হামলা চালায় দক্ষিণ রায় । তপন খাড়া নামে ওই মউলকে হঠাৎই বাঘে আক্রমণ করে বাকি সঙ্গীরা দিশেহারা না হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘের উপর । কয়েক মিনিট ধরে চলে বাঘে মানুষের লড়াই। একসময় হার মেনে শিকার ছেড়ে জঙ্গলে গাঢাকা দেয় দক্ষিণ রায় । এরপর তপনকে তার সঙ্গীরা উদ্ধার করে তড়িঘড়ি গ্রামে ফিরে আসেন ও স্থানীয় জামতলা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। 



এ বিষয়ে তপন খাড়া বলেন, সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম ।যখন মধু কাটছিলাম তখনই পিছন থেকে একটি বাঘ আমার উপর হামলা চালায়। এরপর আমার সঙ্গীরা আমাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে। বাঘ আমার মাথায় কামড় দেয় । আমার সঙ্গীরা আমাকে উদ্ধার করে আনে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে । আমাকে বাঁচিয়ে গেছে আমার সঙ্গীরা। 



এক প্রত্যক্ষদর্শী স্বপন খাড়া তিনি বলেন, সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করার জন্য শনিবার ভুবনেশ্বর থেকে ঘাট থেকে আমরা পাঁচজন গভীর জঙ্গলে গিয়েছিলাম। মধু সংগ্রহ কাজ শুরু করে দিয়েছিলাম জঙ্গলে গিয়ে। আমরা জানি সুন্দরবনে প্রতিমুহূর্তে বিপদ লুকিয়ে থাকে তবুও রুজি রুটির টানে বিপদ জেনেও সুন্দরবনে বারবার যেতে হয়।