ভূপতিনগরে কেন্দ্রীয় সংস্থার উপর আক্রমণ নিয়ে কটাক্ষ মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা

Birbaha hasda


সঞ্জিত কুড়ি, পূর্ব বর্ধমান :-  

পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে তদন্তে এসে এন.আই.এ মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্মীরা আক্রান্ত। সন্দেশখালির পর ফের আক্রান্তের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, পশ্চিমবঙ্গে যেখানে যেখানে ভোটে হার নিশ্চিত সেখানে সেখানে বিজেপি কেন্দ্রীয় সংস্থা কে পাঠাচ্ছে নাটক করতে। যাতে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে ধবস ধরাতে পারে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভোটের আগে এই সব সংস্থা কে পাঠাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের ভয় দেখাতে, কিন্তু মানুষ এর জবাব দেবে ভোট বাক্সে। বর্ধমানের আদিবাসী সম্মেলনে যোগ দিতে এসে মন্তব্য করলেন মন্ত্রী বীরবাহা। 



লোকসভা ভোটের আগে পূর্ব বর্ধমান জেলার আদিবাসী ভোট একত্রিত করতে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই আদিবাসী সম্মেলন করা হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রায় ৯শতাংশ আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বাস, সেই ভোট কে ধরে রাখতে তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস। তাই রাজ্যের মন্ত্রী তথা আদিবাসী সম্প্রদায়ের অন্যতম নেত্রী বীরবাহা হাঁসদা এবং রাজ্য আদিবাসী সেলের সভাপতি দেবু টুডুর নেতৃত্বে এই সম্মেলন। 



মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আরেক মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বিধায়ক তথা জেলা তৃনমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জী, বর্ধমান-দূর্গাপুর লোকসভার প্রার্থী কৃতি ঝাঁ আজাদ, বর্ধমান-পূর্ব লোকসভার প্রার্থী ডাঃ শর্মীলা সরকার সহ জেলা তৃনমূলের অন্যান্য নেতৃত্বরা। ৩৪বছর বাম শাসনে আদিবাসী সমাজের উন্নয়নের কথা না ভেবে শুধু ভোট ব্যাঙ্কের মতো ব্যবহার করে গেছে। অন্যদিকে এই সমাজের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চনা তো আছেই। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার জয়-জোহার থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চালু করেছে আদিবাসী সমাজের মানুষের জন্য বলে সম্মেলন থেকে দাবী করেন আদিবাসী নেতৃত্বরা। 



অন্যদিকে বর্ধমান-পূর্ব লোকসভায় বিজেপি প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ইতিমধ্যেই বির্তক শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক মহলে। সে বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী ডাঃ শর্মীলা সরকার কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি ওনার শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে কিছুই বলতে চাই না। আমার যা শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে, আমি সেই রকম ভাবেই প্রচার করবো। কারও পাল্টা মন্তব্য করা টা আমি পছন্দ করি না। উনি ওনার মতো ভাষায় প্রচার করুন, আমি আমার মতো। লোকসভায় দাঁড়ানোর জন্য শিক্ষার কোন মাপকাঠি নাই, থাকলে অবশ্যই নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা করতো। মানুষের পাশে থাকতে গেলে, মানুষের কথা বলতে গেলে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার প্রয়োজন হয় না বলে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে উঠা বির্তক থেকে কার্যত্ব এড়িয়ে গেলেন প্রার্থী ডাঃ শর্মীলা সরকার।