লোকসভার আগেই লাগু হচ্ছে CAA! তুঙ্গে জল্পনা

CAA


প্রতিবেশী দেশগুলির অমুসলিম মানুষদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন সিএএ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা তুঙ্গে। এর আগে বিজেপি নেতারা শীঘ্রই সিএএ লাঘু হবে দাবি করছিলেন। এরপর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম আয়োজিত সম্মেলনে যোগ দিয়ে অমিত শাহ লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ কার্যকর নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছিলেন। যা ঘিরে জল্পনা চলছিল। এর মাঝেই এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এবার দাবি করলো আগামী মাসেই লাঘু হচ্ছে সিএএ আর সেই খবরে পড়ে গেল শোরগোল।



২০১৯ সালে সংসদে CAA পাশ হয়, তার পর পাঁচ বছর কাটতে চললেও, এখনও গোটা দেশে CAA কার্যকর করা যায়নি। যখন সিএএকে বিরোধীরা নির্বাচনী গিমিক তকমা দিচ্ছে সেই পরিস্থিতিতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালেই CAA কার্যকর করার ঘোষনা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এই মুহূর্তে। দিল্লির অন্দরে জল্পনা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে।



বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টানরা বেআইনি অনুপ্রবেশকারীর দলে পড়বে না। তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত। তবে সেই তালিকায় মুসলিম ছিল না। দেশজুড়ে আগুন জ্বলে। এই আইন ‘অসাংবিধানিক’ ও ‘সংবিধানের পরিপন্থী’ এই দাবি বারবার উঠে আসে আন্দোলনকারীদের মুখে।



সংবাদসসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর লোকসভা ভোটের আগেই আগামী মাসে ঘোষণা হয়ে যেতে পারে সিএএ বিধি। ২০১৯-এ CAA পাশ হয়। পড়শি দেশে নিপীড়িত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার এই আইন। এই আইনের আওতায় প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু এই আইনের আওতায় নেই মুসলিম। আর তা নিয়ে বারেবারে বিরোধীতা করেছে বিরোধীরা। ধাপে ধাপে CAA, NRC, NPR কার্যকর করার নেপথ্যে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বৃহত্তর উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও অভিযোগ বিরোধীদের। সামনেই লোকসভা নির্বাচন তার আগে ফের সেই তরজা উঠেছে।