১ বছর ৭ মাস বয়সেই ছোট্ট ক্ষুদের কীর্তিতে অবাক হবেন আপনিও
ক্ষুদের বয়স মাত্র ১ বছর ৭ মাস। এই সময়ে তার মা-বাবার কোলে ঘুরে বেড়ানোর কথা, নিদারুন উল্লাসে মুখে মিষ্টি হাসি নিয়ে খেলে বেড়ানোর কথা। কিন্তু এই বয়সেই গড়গড় করে বলে দেয় বাংলা- ইংরেজি অক্ষর, পশু-পাখির নাম। এমনকি জটিল অঙ্কের জ্যামিতিক আকার চিনে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে সে। এতো ছোট্ট বয়সে ক্ষুদের এমন প্রতিভা দেখে যেকোনও বাবা-মা'র গর্বে বুক ফুলে উঠবেই। জলপাইগুড়ির এই ছোট্ট ক্ষুদের কীর্তিতে খুশি জেলাবাসী। ইতিমধ্যেই তার এমন প্রতিভার কদর করেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস।
মুখে এখনও ঠিকমতো কথাও ফোটেনি, কিন্তু তাতে কি? ছোট্ট শিশু হৃদানের প্রতিভা দেখে অবাক সকলে। হৃদান মিত্র যেন এক বিস্ময় শিশু!এখনও ঠিকমতো কথা বলতে না পারলেও ছোট্ট হৃদান চিনতে পারে ইংরেজি বর্ণমালার সমস্ত বর্ণ,চিনতে পারে বাংলা এবং ইংরেজি সংখ্যা, বিভিন্ন প্রাণী,সবজি,ফল ,মানব শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ। পাশাপাশি রয়েছে জ্যামিতিক আকারের ধারণাও। গাড়ির নম্বর প্লেট দেখলেও সংখ্যাগুলো বলতে শুরু করে সে। যেকোনও সংখ্যা এলোমেলো করে রেখে প্রশ্ন করা হলে সঠিক সংখ্যাটি চিনে ফেলে সে। প্রশ্ন করা যেকোনও বর্ণ,সংখ্যা ,সবজি হাতে নিয়েই দেখিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অস্পষ্ট ভাষায় বলতে শুরু করে। তার এই প্রতিভার জন্য ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠেছে এই বিস্ময় শিশুর। সম্প্রতি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের শংসাপত্র পেয়েছে এই ছোট্ট শিশু হৃদান। অন্য কোনও খেলাতে মন নেই তার সারাক্ষণ বর্ণমালা নিয়ে পড়ে থাকে সে। এখনকার দিনে যেখানে বাচ্চারা ছোট থেকেই ক্রমে মোবাইল আসক্ত হয়ে পড়ছে সেখানে হৃদানের পড়াশোনার প্রতি ভালোবাসা সত্যিই প্রশংসনীয়।
হৃদানের বাবা সুব্রত মিত্র পেশায় চিকিৎসক ,মা দীপাঙ্কণা ভট্টাচার্য মিত্র প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। মায়ের কর্মসূত্রে জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটার সুভাষ পল্লীতে দাদু বাড়িতে থাকে হৃদান । নাতির প্রতিভা দেখে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস শংসাপত্র দিয়েছে এতে অত্যন্ত আনন্দিত দিদা মৌসুমী ভট্টাচার্য। তার কথায়, পরিষ্কার করে কথা বলতে না পারলেও এলোমেলো বর্ণাক্ষর থেকে যে কোনও বর্ণ জানতে চাইলে নাতি সঠিক উত্তর দেবে নিমেশেই। জানা যায়,মাত্র ৭ মাস বয়স থেকেই এই বিস্ময় ক্ষুদে অন্যান্য খেলনা বাদ দিয়ে পড়ার বই আগ্রহ সহকারে দেখত। মাত্র ১ বছর ৭ মাস বয়সে ক্ষুদের এমন পরিচিতি হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই আনন্দের আমেজ পরিবার সহ গোটা এলাকা জুড়ে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊