মহাকাশ সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের অবগত করতে রকেট উৎক্ষেপণ করে অভিনব উদ্যোগ স্কুলের

 
Primary school

ফলতা:

মহাকাশ বিজ্ঞানে একের পর এক নজির গড়ছে ভারত। সফলভাবে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের পর মহাকাশ বিজ্ঞানে নতুন দিশা দেখাচ্ছে ভারতের ইসরো। আর সেই চন্দ্রযান -৩ এর সফল উৎক্ষেপণের অনুপ্রেরণা নিয়ে এবার শিশু বয়স থেকেই মহাকাশ সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের অবগত করার জন্য সর্বপ্রথম সফলভাবে জল দিয়ে রকেট উৎক্ষেপণ করে নজির গড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। খড়গপুর আইআইটির অধ্যাপকের কাছ থেকে রকেট বিজ্ঞান সম্পর্কে জেনে ছাত্র-ছাত্রীদের মহাকাশ বিজ্ঞান ও রকেট বিজ্ঞান সম্পর্কিত তথ্য দিতে অভিনব ভাবনা নেয় ফলতা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। 



মঙ্গলবার সকাল থেকে স্কুলের প্রাঙ্গণ সেজে উঠেছিল। ছাত্র ছাত্রীরা একে একে ভিড় জমাচ্ছিল স্কুলের মাঠে। এরপর স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের হাতে তৈরি করা চন্দ্রযান-৩ এর রেপ্লিকা নিয়ে হাজির হয় স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা। জল এবং বাতাসকে একসঙ্গে নিউটনের তৃতীয় সূত্র প্রয়োগ করে সফলভাবে রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়। মূলত স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশু বয়স থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের মনের মধ্যে মহাকাশ বিজ্ঞান ও মহাকাশ সম্পর্কে গবেষণার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে এমনই অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্কুলের এমন উদ্যোগে খুশি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবকরা । 



এ বিষয় ফলতা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক তিলক নস্কর জানান, মহাকাশ গবেষণা বিজ্ঞানে ভারতের ঝুলিতে একের পর এক সাফল্য উঠে আসছে। মহাকাশ সম্পর্কে ছোটবেলা থেকে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অবগত করার জন্য স্কুলের তরফ থেকে একাধিক অভিনব প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। রাতের মহাকাশকে জানার জন্য স্কুলের পক্ষ থেকে টেলিস্কোপের মাধ্যমে বিভিন্ন নক্ষত্র মন্ডল ও তারামণ্ডলের সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের অবগতও করানো হচ্ছে । এবার রকেট বিজ্ঞানকে আরো সহজ ভাবে জানার জন্য অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হলো। খড়গপুর আইআইটির কিছু অধ্যাপকের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে । তাদের কাছ থেকে এই "ওয়াটার রকেট লঞ্চিং প্রোগ্রাম" শিখে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ওয়াটার রকেট লঞ্চিং প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানানো হয়। কিভাবে নিউটনের তৃতীয় সূত্রকে কাজে লাগিয়ে এই ওয়াটার রকেট তৈরি করা যায় সেই সম্পর্কে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অবগত করা হয়। এরপর স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা একটি ওয়াটার রকেট তৈরি করে। এদিন সেই রকেট সফলভাবে উৎক্ষেপণন করা হয়। এই পদক্ষেপের পর প্রান্তিক এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষজন।