গঙ্গাসাগরে ফেলে দেয়া বিভিন্ন আবর্জনা দিয়ে তৈরি হচ্ছে রাসায়নিক সার!
কথায় বলে সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার'। অর্থাত্ সব তীর্থে বারবার গিয়ে যে পূণ্যলাভ হয়, গঙ্গাসাগরে মাত্র একবার সেই পরিমাণ পূণ্য লাভ করা সম্ভব হয়। হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত মাহাত্ম্যপূর্ণ এই তীর্থস্থান। গঙ্গা নদী এখানে সাগরে এসে মিশেছে। তাই এই স্থানের নাম গঙ্গাসাগর। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় কপিল মুনির আশ্রম প্রাঙ্গনে ৮ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে গঙ্গাসাগর মেলা। এই বছর অন্তত ৪০ লক্ষ পূণ্যার্থী আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে।
কুম্ভ মেলার পরে সবথেকে বড় মেলা হলো গঙ্গাসাগর মেলা। আর এই উত্সব উপললক্ষ্যে প্রচুর মানুষ জড়োহন এই গঙ্গা বক্ষে। আর দেশ-বিদেশ থেকে যে সমস্ত তীর্থযাত্রী এই গঙ্গাসাগর মেলাতে পূর্ণ লাভের আশায় আসে। তবে এত মানুষের সমাগম হওয়ার কারণে সাগর চত্বরে প্রচুর পরিমাণে ময়লা আবর্জনা একসাথে জড়ো হয়। আর সেই কথা মাথায় রেখে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উদ্যোগে তাদের কথা অনুযায়ী শুদ্ধিকরণ প্রতিবার গঙ্গাসাগরের অঙ্গীকার।
এই গঙ্গাসাগরে ফেলে দেয়া বিভিন্ন আবর্জনা দিয়ে তৈরি হচ্ছে রাসায়নিক সার এছাড়া মেলায় ব্যবহৃত যে সমস্ত প্লাস্টিকের ফেলে দেওয়া বোতলগুলি আছে সেগুলি দিয়েই লোকেরা চলে যাওয়ার পরে, কাচের বোতল, পুরানো কাপড় এবং অন্যান্য জিনিস সৈকত থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যা পুনর্ব্যবহার করা যায় ব্যবহৃত কাচের বোতলগুলি রঙিন করে সুন্দর ফুলদানি তৈরি করা হচ্ছে, এছাড়া পুরাতন পোশাক থেকে মাদুর এবং ব্যাগ প্রস্তুত করছেন মহিলারা। এই কাজ করার জন্য মেদিনীপুরের তমলুক থেকে আনা হয়েছে এই কাজের জন্য। শুধুমাত্র গঙ্গাসাগর মেলার জন্য এই পরিকল্পনাটি নেওয়া হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊