জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে পুজোর উদ্বোধন, মন্ত্রী-প্রশাসনের উপস্থিতিতে আটকে অ্যাম্বুলেন্স, 

Stc club


জলপাইগুড়ি, জয়ন্ত বর্মণ


ব্যস্ততম ধুপগুড়ি ফালাকাটাগামী জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে ক্লাবের পুজো প্যান্ডেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। একের পর এক মুমূর্ষ রোগী বহনকারী এম্বুলেন্স সহ সরকারি বেসরকারি বাস রাস্তার দুদিকে আটকে বিপত্তি। এ যেন রক্ষকই ভক্ষকের ভূমিকা পালন করল। উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী বড় বাজেটের শ্যামা পূজার মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি শহরের মধ্যে অবস্থিত এসটিএস ক্লাব। 


এবারে ৫৩ তম বৎসরে পদার্পণ করে সিকিমের নামজির চার ধাম মন্দিরের আদলে তাদের পুজো প্যান্ডেল। যার শুভ উদ্বোধনে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ থেকে শুরু করে, জলপাইগুড়ি জেলাশাসক শ্যামা পারভীন, জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার খন্ড বাহল উমেশ গণপথ, ডিএসপি ক্রাইম বিক্রমজিৎ লামা, এমনকি ট্রাফিক পুলিশের জলপাইগুড়ি জেলা ট্রাফিক অরিন্দম পাল চৌধুরী, ধুপগুড়ি থানা ট্রাফিক ওসি, ধুপগুড়ি থানার আইসি সহ একাধিক প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন ধুপগুড়ি পৌরসভার একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকসহ ক্লাব কর্তারা। 



এদিনের অনুষ্ঠানকে ঘিরে জাতীয় সড়কের দুই লেনেই হাজারো মানুষের ভিড় জমে। প্রশাসনের নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সামনেই দুই রাস্তা অবরুদ্ধ করে চলে ঘন্টার পর ঘন্টা ক্লাবের একাধিক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের সামিল ছিলেন টলিউড জগতের বিশিষ্ট অভিনেত্রী কৌশানি মুখার্জি।




আটকে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে মুমূর্ষ রোগী থাকায় সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা জলপাইগুড়ি জেলাশাসক থেকে শুরু করে জেলা পুলিশ সুপার ট্রাফিক আধিকারিক প্রত্যেককে প্রশ্ন করলে প্রত্যেকের মুখে কুলুপ আটে। গোটা বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য আসেনি। তবে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই উচ্চপদস্থ থেকে ধুপগুড়ি থানার পুলিশ ট্রাফিক প্রত্যেক কর্মীরই তৎপরতা তুঙ্গে লক্ষ্য করা যায়।



পুলিশের তরফে যানজট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিকল্প রাস্তা যা বেছে নেওয়া হয় সেখানেও একাধিক যানবাহন প্রবেশ করায় কোনোভাবেই যান চলাচল স্বাভাবিক সম্ভব হয়নি। এরপরেই উত্তেজিত জনতা পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে খুব উগরে দিলে একটি সরকারি বাস থেকে একজনকে পুলিশ গায়ে হাত দেয় এবং থানায় নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এরপরই ধুপগুড়ি মসজিদ মোড়ে শতাধিক যাত্রী একত্রিত হয়ে পথ অবরুদ্ধের শামিল হয় এরপরে ধুপগুড়ি থানায় গিয়ে উপস্থিত হয়ে আলোচনা সাপেক্ষে সেই ব্যক্তিকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।



গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক তোলপাড় করে দিয়েছে। তবে প্রশাসনিক এবং ক্লাবের তরফে কোনরকম মন্তব্য দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি শিলিগুড়ি মেয়র গৌতম দেব কে মঞ্চ থেকে বলতে শোনা যায় সাময়িক সমস্যা হয়েছে।