সিকিমের হড়পা বান প্রাণ কাড়লো দিনহাটার যুবকের 


Dinhata news



মর্মান্তিক! সিকিমের হরপা বানে প্রাণ গেল কোচবিহারের দিনহাটা ১নং ব্লকের ভেটাগুড়ি ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রুয়েরকুঠির ২৭ বছরের যুবক রাহুল মোদকের । সিকিমে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে কর্মরত ছিল শ্যামল।



জানা যায় কর্মসূত্রে সিকিমে থাকতো  সে‌। দুই বন্ধু মিলে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতো দুজনেই। ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের ঘর ভাসিয়ে নিয়ে যায় হরপা বান। আর তাতেই ভেসে যায় তারাও। জানা যায়, শ্যামলের বন্ধু গাছে আটকে যায় আর শ্যামল ভেসে যায় জলের স্রোতে। তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে খবর।



গতকাল রাতে শিলিগুড়িতে তার মরদেহ উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য এই খবর জানান। রাহুলের মাসী জানান, সিকিমের রংপোতে সে থাকত, সেখানে হটাৎ তার ঘরে হরপা বানের জল চলে আসায় সে আর নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি। ইতিমধ্যেই রাহুলের বাবা ছেলের মরদেহ শনাক্ত করে সেটা আনার জন্য শিলিগুড়ি উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।



শোক প্রকাশ করে তৃণমূল নেতা পার্থ প্রতিম রায় জানান, শোক জানানোর ভাষা নেই। প্রকৃতির কাছে আমরা বড্ড অসহায়। কিন্তু আধুনিকতার নামে, নগর জীবনের কংক্রিট গড়ার নামে প্রকৃতির উপর লাগামহীন অত্যাচার হচ্ছে একথাও ঠিক। তাই প্রকৃতি বোধহয় প্রতিশোধ নিচ্ছে। কিন্তু অকালে চলে যাওয়া প্রানগুলির দায় কে নেবে!


প্রসঙ্গত, মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানে সিকিমে ধ্বংসযজ্ঞ। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত নিখোঁজ ২৩ সেনা জওয়ান, চলছে জোর তল্লাশি। উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদে আকস্মিক মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানে তিস্তা নদী প্লাবিত হয়েছে। উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদে আকস্মিক মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানের কারণে তিস্তা নদীর জলস্তর বেড়ে বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। লাশ ভেসে আসছে তিস্তা দিয়ে। ইতিমধ্যে উদ্ধার হয়েছে একাধিক লাশ। 




মেঘভাঙা বৃষ্টির (CloudBurst) জেরে চুংথাম বাঁধ ভেঙে ভয়াল আকার নিয়েছে তিস্তা। নদীতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস (Flash Floods)। স্রোতের টানে ভেসে যেতে দেখা গেছে বাড়ি ঘর-গাছ পালা। পাহাড়ি রাস্তায় ভাসছে গাড়ি। চুংথাম এলাকা কার্যত সিকিম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বানভাসি লাচেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক সেনাছাউনি। NH10 ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যহত হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।