Part Time Teacher : স্থায়ীকরণের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে গন-ইমেল বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ে শিক্ষকদের


mamata banerjee with mobile phone



রাজ্যে বিভিন্ন সরকারি ও আধাসরকারি বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ শিক্ষকের অভাব থাকায় বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে আংশিক সময়ের শিক্ষক (Part Time Teacher) নিয়োগ করা হয়। কিন্তু প্রয়োজন শেষ হওয়ার পর যখন বিদ্যালয়ের স্থায়ী শিক্ষক চলে আসেন তখন সেইসব শিক্ষকদের বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এটা অত্যন্ত অমানবিক বলেই মনে করছেন বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষকরা।

(ads1)

বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষকরা (Part Time Teacher) বলেন- "তথাপি আমাদের রাজ্যে এই ব্যবস্থা বামফ্রন্ট আমল থেকেই চলে আসছে। শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা নিরুপায় হয়ে এই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।এইসব আংশিক সময়ের শিক্ষকদের বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগ করেন এবং স্কুল ফান্ড থেকে তাদের সামান্য বেতন মাসিক ২০০০টাকা থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত বেতন দেওয়া হয়। সারা রাজ্যে প্রায় সাত হাজার জন আংশিক সময়ে শিক্ষক রয়েছে।"


একইভাবে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে আংশিক সময়ের অধ্যাপক নিযুক্ত হয়েছিলেন যাদের সরকার স্থায়ীকরণ করেছেন এবং তাদের বাঁচার মতো একটা বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এতে উৎসাহিত হয়ে রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষক শিক্ষিকাগণ (Part Time Teacher) মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বারবার স্থায়ীকরণের আবেদন করেছেন। তারা ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কর্মের সুনিশ্চয়তা এবং সরকার কর্তৃক বাঁচার মতো একটা বেতন দেওয়ার আবেদন করেছেন।

(ads2)


ইতিমধ্যে নবান্ন, কালীঘাট, বিকাশ ভবন সমস্ত জায়গায় তারা আবেদন করেছেন। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী ফোন নাম্বার চালু হওয়ার পর সমস্ত শিক্ষক (Part Time Teacher) তাতে ফোন করে তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সমস্যার কোন সমাধান হয়নি।


সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সমীর কুমার দেওঘরিয়া জানিয়েছেন সামনে ৫ ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস আসছে তাই সংগঠনের পক্ষ থেকে আজ ১লা সেপ্টেম্বর সোমবার সংগঠনের সকল সদস্য সরাসরি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীকে ইমেইল করে তাদের সমস্যার কথা জানাবেন।


মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের আবেদন তিনি যেন এই মহান শিক্ষক দিবসের দিন বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষকদের (Part Time Teacher) ৬০ বছর পর্যন্ত কর্মের সুনিশ্চিতা প্রদান করেন এবং বাঁচার মতো একটা সাম্মানিক দেওয়ার ব্যবস্থা করে শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের মর্যাদা প্রদান করেন।

PTSTEWA এর রাজ্যসভাপতি লক্ষীকান্ত মাইতি বলেছেন-
"নিত্যদিনে স্কুল পার্ট টাইম শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীদের উপযুক্ত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কেবলমাত্র সরকারি স্বীকৃতি না থাকার কারণে  মানসিকভাবে তাদের নিপীড়ন করা হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত অপমান, অবমাননা এবং নানান অমর্যাদাকর সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এর কি কোন প্রতিকার নেই?
স্কুল পার্ট টাইম শিক্ষকদের উপর এই মধ্যযুগীয় বর্বরতা আর কতদিন চলবে? এখনোও কি আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এবং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নীরব থাকবেন?"

তিনি আরও বলেন- "আমাদের শিক্ষক সংগঠন  "PTSTEWA" এর পক্ষ থেকে সকলের কাছে আহ্বান "মানুষ " হিসেবে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এর প্রতিবাদ করা  উচিত। আজ  ১লা সেপ্টেম্বর ,২০২৩ রাজ্যের প্রতিটি বিদ্যালয়ের সকল স্কুল পার্টটাইম শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীবৃন্দ অতি অবশ্যই আপনাদের প্রতিনিয়ত অপমান ও লাঞ্ছনার প্রতিবাদে সরকারি স্বীকৃতি , মর্যাদা ও
স্থায়ীকরণের দাবিতে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এবং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে  "গণ ইমেল "কর্মসূচিতে সকলে সামিল হোন।"