বুকভরা ব্যথা আর চোখের জল নিয়ে যন্ত্রণা দিবস পালন করলেন নবম -দ্বাদশের ধর্ণারত চাকরি প্রার্থীরা
বুকভরা ব্যথা আর চোখের জল নিয়ে যন্ত্রণা দিবস পালন করলেন নবম -দ্বাদশের ধর্ণারত চাকরি প্রার্থীরা। আজ ৫ ই সেপ্টেম্বর, শিক্ষক দিবস। দেশ জুড়ে একদিকে মহাসমারোহে শিক্ষক -শিক্ষিকাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হচ্ছে। অন্যদিকে চাকরি থেকে বঞ্চিত হবু শিক্ষক-শিক্ষিকা পদপ্রার্থীরা গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্ণারত অবস্থায় যন্ত্রণা দিবস পালন করলেন। ৫ ই সেপ্টেম্বরে শিক্ষক দিবসের দিনে দুই ভিন্ন ধরনের দিবস পালন রাজ্যে এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্তের সৃষ্টি করেছে।
মালদা, মুর্শিদাবাদ,নদীয়া, কোচবিহার, দিনাজপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, হুগলি, হাওড়া, মেদিনীপুর, বীরভূম,বর্ধমান, কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে নবম -দ্বাদশ স্তরের বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা ধর্মতলা গান্ধীমূর্তির পাদদেশে এসে ধর্ণার পাশাপাশি কলকাতার রাজপথে নেমে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ সরকারের উদাসীনতার কারণে নবম -দ্বাদশ স্তরের বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের জীবন থেকে মূল্যবান ৭ টি বছর চোখের সামনে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
তবুও হার মানেনি বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা। এই বিগত সাত বছরে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা কেউ হারিয়েছেন তাদের মা কে আবার কেউ বাবা কে আবার কেউ কেউ উভয়কেই। ফলে তারা সংসারের বোঝা নিজ নিজ কাঁধে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে। বীরভূম জেলার সুবোধ হালদার একাদশ-দ্বাদশ স্তরের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মেধাতালিকা ভুক্ত হয়েও দুর্নীতির কারণে ন্যায্য চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়ে সংসারের হাল ধরতে নিজ রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে যেতে বাধ্য হয়েছে বলে অভিযোগ।
যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের স্টেট কো-অর্ডিনেটর সুদীপ মন্ডল জানিয়েছেন- যদি স্বচ্ছ ভাবে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ হতো, তাহলে সবোধ হালদার আজকে চাকরি করতো, ভিন রাজ্যে পেটের জ্বালায় সংসার বাঁচানোর জন্য পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যেতে হতো না। শুধুমাত্র একটাই সুবোধ হালদার নয়, এইরকম অনেক বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী আজ পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যেতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি আরও বলেন- বছরের পর বছর ধরে হকের চাকরি ফিরিয়ে আনতে নবম -দ্বাদশের বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় বহু মিছিল, মহামিছিল, অবস্থান বিক্ষোভ করলেও এখনোও তাদের সমস্যার সমাধান হয়নি। সরকারের তরফ থেকে কয়েক বছর ধরে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য আশ্বাসের পর আশ্বাস দেওয়া হলেও সেই আশ্বাসের বাস্তবায়ন হয়নি।
যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের স্টেট কো-অর্ডিনেটর সুদীপ মন্ডল জানিয়েছেন যে " আজকে আমরা বিদ্যালয় গুলিতে কর্মরত থাকতাম। আজকে শিক্ষক দিবস। আমাদের ভাগ্যে শিক্ষক দিবস জোটেনি। আমরা আজ ধর্ণারত অবস্থায় যন্ত্রণা দিবস পালন করছি।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊