চুপিসারে জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন, ঢুকতে দেওয়া হল না জনসাধারন ও সাংবাদিকদেরও 

Burdwan news


সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান:- 

পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন হলো চুপিসারে!সংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি!লোক দেখাতে কার্জনগেটে সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান।



সারা রাজ্যের বেশ কটি জেলায় পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে এবং কোনো কোনো জায়গায় বিশৃঙ্খলা এবং অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। সেই মতো সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন ছিল সংস্কৃতির এনেক্স হলে। কিন্তু নাটকীয়ভাবে জনসাধারণ এবং সংবাদ মাধ্যমকে ঢুকতে না দিয়ে জেলা পরিষদের সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে বোর্ড গঠন করা হলো এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার , সহ সভাধিপতি গার্গী নাহাকে নির্বাচিত করা হলো। 



কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে কার্যত লুকিয়ে জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন করা হলো কেন? একদিকে যেমন সংবাদমাধ্যমকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তেমনি অন্যদিকে জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা ছাড়া কোন সাধারন মানুষকেও ঢুকতে দেয়া হয়নি। যেখানে বিগত বছরগুলিতে দেখা গিয়েছিল সম্পূর্ণ খোলা মঞ্চে জনসাধারণের সামনে জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। তাহলে কি তৃণমূলের অন্তরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ভয়েই এই পদক্ষেপ। যাতে কোনো অশান্তি হলে বাইরে সেই খবর প্রকাশিত না হয়। উঠছে প্রশ্ন।



এই বোর্ড গঠন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা এবং প্রশাসনিক আধিকারিকবৃন্দরা। যদিও এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা জানান, জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন সম্পূর্ণ পঞ্চায়েতের আইন মেনেই করা হয়েছে। এখানে লুকানোর কোন বিষয় নেই। সরকারিভাবে ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে শপথ গ্রহণের। যদি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা চায় তাহলে তাদের দিয়ে দেয়া হবে।



এই বিষয়ে নবনির্বাচিত পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার জানান, বোর্ড গঠন লোকানোর কোন বিষয় নয়, জেলা প্রশাসন মনে করেছে এইভাবে করলেই বিষয়টি আরো ভালো হবে। তাই প্রশাসনের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে আজ আমরা সকল সদস্যরা শপথ বাক্য পাঠ করলাম। এবং সদস্যদের সম্মতি প্রদানে আমি সভাধিপতি নির্বাচিত হলাম। আমার প্রথম কাজ হবে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে কাজ করা। যারা আমাদের ভোটে জিতিয়েছেন। তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে।



এই বিষয়ে সহকারি সভাধিপতি গার্গী নাহা জানান, বোর্ড গঠন প্রশাসনিক নিয়ম মেনে করা হয়েছে। এখানে কোন লোকানোর বিষয় নেই। উন্নয়নের কাজ সবাইকে একত্রিত হয়ে করতে হবে। এখনো যে সমস্ত জায়গায় নিকাশী নালা পানীয় জল এবং রাস্তাঘাট বেহাল অবস্থায় রয়েছে। জেলা পরিষদের প্রথম কাজ হবে সেই সমস্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে কাজ করার।এদিন সংস্কৃতি এনেক্স হলে জেলাপরিষদের বোর্ড গঠন শেষ করে নবনির্বাচিত জেলাপরিষদের সভাধিপতি এবং সহকারী সভাধিপতিকে নিয়ে সংস্কৃতি লোকমঞ্চ থেকে বিভিন্ন বাদ‍্যযন্ত্র সহকারে মিছিল করে বর্ধমানের কার্জনগেটে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস‍্য ও সদস‍্যদের সম্বর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠান যোগ দেন জেলাপরিষদের 



প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু।এদিনের কার্জনগেটে এই সম্বর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বিডিএ চেয়ারম্যান কাকলি গুপ্ত তা,পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃনমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার সহ অনান‍্য বিধায়করা।