Dinhata : পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা নাজিরহাটে, চলে বোমাবাজি 

udayan guha




দিনহাটা: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে তৃণমূল কংগ্রেস চালিয়েছে দেদার ছাপ্পা। আর সেই ছাপ্পা ভোটকে বাধা দিতে গেলে মারমুখি হয়ে ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে কর্মী সমর্থকরা, অভিযোগ বিজেপির।


বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দিনহাটা ২ নং ব্লকের নাজিরহাট ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের শালমারা এলাকায়। তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়ের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে এলাকা।


উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনায় ফাটে একাধিক বোমা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে চলে আসেন কোচবিহার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ, ডিএসপি হেডকোয়ার্টার চন্দন দাস, দিনহাটা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ত্রিদিব সরকার, দিনহাটা থানার আইসি সুরজ থাপা, সাহেবগঞ্জ থানার ওসি অ্যান্টনি হোরোর নেতৃত্ত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরবর্তীতে পুলিশ এসে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদেরকে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।


বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য জ্যোতির্ময় কুমার বর্মন এবং বিজেপি নেতা তরনিকান্ত বর্মন অভিযোগ করেন ১৯ সদস্য বিশিষ্ট নাজিরহাট ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস ১২ টি আসন জয়লাভ করে এবং বিজেপি জয়লাভ করে সাতটি আসন। কিন্তু পরবর্তীতে তৃণমূলের একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করলে আজ বোর্ড গঠনের দিন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যরা গোপন ভোটের আবেদন জানালে সেখানে তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধান নবীর উদ্দিন মিয়া নিজেই সমস্ত জয়ী প্রার্থীর গোপন ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে একাই ভোট দান করেন। আর বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যরা সেই ভোট দান প্রক্রিয়ায় বাধা প্রদান করলে তাদের কথা না শুনেই বিডিও অফিস থেকে আসা কর্মীরা সমস্ত রকম কাগজপত্র নিয়ে চলে যায়।

(ads1)

যদিও নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন বিকেল চারটে নাগাদ নাজিরহাট দুই নম্বর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মনভোলা রায় বলেন যেহেতু বিজেপি বোর্ড গঠন করতে পারেনি তাই ইচ্ছা প্রণোদিতভাবে তারা গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বর উত্তেজিত করার চেষ্টা করেছিল।


এই ঘটনার পর আজ শালমারায় যাওয়ার সময় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী উদয়ন গুহর (Udayan Guha) কনভয়ে বোমা মারার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।


মন্ত্রী (Udayan Guha) অভিযোগ করে বলেন তিনি সন্ধ্যা আনুমানিক পাঁচটা নাগাদ যখন কনভয় নিয়ে নাজিরহাট দুই নং গ্রাম পঞ্চায়েতের শালমারা এলাকায় দলীয় পঞ্চায়েত সদস্য এবং কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন ঠিক সেই সময় তার কনভয়ে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের বোমা ছোড়ার ফলে বোমার বিকট আওয়াজে কনভয় থেমে যায় এবং পরে দেখা যায় বোমা ফেটে বোমার সুতলি পড়ে রয়েছে।


আর এই ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা সেখানেই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে স্লোগান শুরু করে। মন্ত্রীর গাড়িকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ায় মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা এবং পরবর্তীতে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করে।

(ads2)