কোর্টের রায়ে জয় আটকে গেলেও কাজ বন্ধ নেই সিপিআই (এম) প্রার্থীর


cpim candidate



ভোটের ফল যাই হোক, কোর্টের রায় যতই পঞ্চায়েত গঠনে বাঁধা হয়ে দাঁড়াক মানুষের পাশে সারা বছর থাকে বামপন্থীরা। আরও একবার নিজদের কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করল খড়িয়া এলাকার বামপন্থীরা, এমনটাই মনে করছে গ্রামবাসী।

জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তিস্তার চড় এলাকার ৭ টি বুথের মধ্যে ১টি বুথের পঞ্চায়েতের জয়যুক্ত হয়েছে বামফ্রন্টের সিপিআই (এম) প্রার্থী গোঁসাই সরকার, গত ৫ বছর এলাকায় ছিল তৃণমূলের পঞ্চায়েত । এলাকাবাসীদের অভিযোগ বর্ষায় খরের চাল দিয়ে জল পড়লেও পঞ্চায়েতের কাছে গিয়ে একটা ত্রিপল চেয়েও পাননি এলাকার মানুষরা। তিস্তা পাড়ের উত্তর সুকান্ত নগর কলোনী এলাকার মানুষ বর্ষার সময় বেশিরভাগ দিনই জলে কাদায় জীবন যুদ্ধ চালান।

তিস্তার জল সামান্য বারলেই এলাকায় ঢুকে পড়ে জল। রবিবার সন্ধ্যায় খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সেই সুকান্তনগর উত্তর বুথের ৮০ উর্দ্ধ এক গরীব অসহায় বৃদ্ধার গৃহে দীর্ঘ ৪ বছর পর বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় দেওয়া হয় এলাকা সিপিআই (এম) এর পঞ্চায়েত গোসাই সরকার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে।

সিপিআইএম জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য পীযূষ মিশ্র অভিযোগ করেন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে গরিব মানুষকে ২৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিনামূল্যে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল সেইমত এই পরিবারগুলিতে বিদ্যুত সংযোগ দেওয়া হয়েছিল বিনামূল্যে। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার তা বহাল না রাখায় এই পরিবারগুলিতে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার।

বাম জমানায় বিদ্যুৎ প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে ছাত্র যুবদের রক্ত বিক্রি করে সেই টাকায় তৈরি হয়েছিল বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প। 'রক্তে গড়া বক্রেশ্বরের আলো ঘরে ঘরে জ্বালো' এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল বামফ্রন্টের উদ্যোগে। জেলা পরিষদ মুনিসিপালিটি সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কোটি কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকলেও তৃণমূল সরকার তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ কাটেনা অথচ গরিব অসহায় বৃদ্ধার সামান্য বিল বাকি পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়।

১২ বছর হয়ে গেল সরকারে বামফ্রন্ট নেই কিন্তু বামফ্রন্টের পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিতে নবনির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য গোসাই সরকার ও এলাকার বামপন্থীরা স্থানীয় মানুষকে সাথে নিয়ে ৮০ উর্দ্ধ-বৃদ্ধা সকিনা খাতুনের অন্ধকার বাড়িতে আলো জ্বালাতে উদ্যোগী হন।

স্থানীয় নবনিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত জানান এলাকার মানুষের দাবি ছিল এই গরিব মহিলার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হোক। আমরা বলেছিলাম নির্বাচনে জয়ী হয়ে আমরা যে কোন উপায়ে এই কাজ করব।

সেই মত এলাকার মানুষকে সাথে নিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে বকেয়া বিল মিটিয়ে পুনরায় বৃদ্ধার বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছনোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। নবনির্বাচিত পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সমস্ত মানুষরা।

বৃদ্ধা সকিনা খাতুন জানান এর আগে যেটুকু সাহায্য পেয়েছি সিপিএম এর আমলেই, তৃণমূল কিছু দেয় নি।