কংগ্রেস প্রার্থীর অভিযোগে এবার ধূপগুড়ির বিডিওর কাছে কৈফিয়ৎ চাইলো হাইকোর্ট!
জলপাইগুড়ি, জয়ন্ত বর্মণ
ভোট গননার পর উদ্ধার ব্যালট।উদ্ধার হওয়া সেই ৪৭ টি ব্যালট নিয়ে হাইকোর্টের দারস্থ কংগ্রেস প্রার্থী।ধূপগুড়ি ব্লকের সাকোয়াঝোড়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ /২০৮ নং বুথের কংগ্রেস প্রার্থীর স্বামীর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। কংগ্রেস প্রার্থীর এই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে ধুপগুড়ির বিডিও শঙ্খদীপ দাসের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলো কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৩ আগস্টের মধ্যে বিডিওর কৈফিয়ৎ তলব করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ৮ জুলাই নির্বাচনের দিন এই বুথেই তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে ধস্তাধস্তি এবং মারপিট হয় ভোট চলাকালীন। ঘটনার পর ভোট প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ভোট শুরুর চারঘন্টার মধ্যে ভোট বন্ধ হয়ে যায় বলে দাবি।পরবর্তীতে সেখানে ভোট বন্ধ থাকলেও ব্যালট বক্স যথারীতি পৌছায় ধূপগুড়ি ডিসিআরসিতে।স্ট্রংরুমে বন্দী হয় বক্স। ভোট গননার দিন কংগ্রেস প্রার্থী সাহানাজ পারভিনের স্বামী নজিবুল ইসলাম গননার পর বাইরে বেরিয়ে এসে দাবি করেন ফর্ম ১৮ তে প্রিসাইডিং কত ভোট পড়েছে তার হিসেব না দিয়েই বক্স নিয়ে এসেছেন এবং পোলিং এজেন্টের হিসেবের সঙ্গে গননাকেন্দ্রে পোল হওয়া ভোটের হিসেব মেলেনি বলে অভিযোগ তোলেন।এরপর নজিবুল ইসলাম ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে জেলার এস পি,জেলাশাসক,নির্বাচন কমিশন এবং গর্ভনরকে ইমেলে অভিযোগ জানান বলে জানিয়েছেন।
আরও অভিযোগ, এদিকে যেই বুথে ঐ দিন গন্ডগোল হয় সেই বুথের পেছন থেকে ৪৭ টি ব্যালট উদ্ধার হয় বলে কংগ্রেসের দাবি।সেই ৪৭ টি ব্যালটের মধ্যে অধিকাংশ ব্যালটে কংগ্রেসের ভোট পড়েছে বলে দাবি করেন নজিবুল।সেই ব্যালট জমা করেই হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন নজিবুল তথা কংগ্রেস প্রার্থীর স্বামী।
এই বিষয়ে ধুপগুড়ির বিডিও শঙ্খদীপ দাসের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊