ভিনরাজ্যে কাজে যোগ দিতে যাওযার পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত তরুন রায়ের মৃতদেহ ফিরলো বাড়িতে
জলপাইগুড়ি:
রাজ্যে কর্মসংস্থান থাকলে ছেলেকে বাইরে গিয়ে মরতে হতো না। এখনো চোখে জল নিয়ে একই কথা বেরিয়ে আসছে বাবা নৃপেন রায়ের মুখ থেকে।
করমন্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় নিহত জলপাইগুড়ি জেলার মাধবডাঙ্গা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মৃত যুবক তরুণ রায়ের দেহ পৌছালো তাঁর ময়নাগুড়ির গ্রামের বাড়িতে। মঙ্গলবার ভোরে পৌছায় দেহ। সোমবার সড়ক পথে জলপাইগুড়ি পৌছায় কিন্তু জেলা প্রশাসনের তরফে মঙ্গলবার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় মৃতদেহ।
(ads1)
পরিবার সূত্রে জানা যায়, তরুণ প্রায় সাত বছর ধরে বিভিন্ন রাজ্যে গাড়ি চালাতেন। কর্ণাটক, কেরলে কাজ করার পর এবার তামিলনাড়ুতে কাজে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। আর সেখানে ঠিকাদারি সংস্থার মাধ্যমে কাজে যোগ দিতে যাওযার পথেই উড়িষ্যার বালেশ্বরে এই ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় বছর ত্রিশের তরুণ রায়ের।
করমন্ডল এক্সপ্রেসে তরুনের সাথে ছিলেন শৈলেন রায়। তাঁরা একই সাথে কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিল বাড়ি থেকে। শৈলেন গুরুতর আহত। কিন্তু তরুনের মৃত্যু যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না তাঁর পরিবার সহ ময়নাগুড়ির গ্রামের মানুষ।
(ads2)
পুজোর সময় বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু তাঁর আগেই নিহত তরুণের মৃতদেহ বাড়ি ফিরলো।ছেলের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মা সুমিত্রা রায়। তাকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। গোটা গ্রামে শোকের ছায়া। উত্তরবঙ্গে করমন্ডল ভয় এখন ভাবাচ্ছে শ্রমিকদের।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊