Yoga : সমগ্র বিশ্বে মোট কতপ্রকারের যোগাসন চর্চা করা হয়, জানেন কি?


yoga practiced



যোগাসনের আবির্ভাব ভারতবর্ষে বহু প্রাচীনকালে। সেই পুরাণের সময় থেকে ভারতবর্ষে যোগাসনের চর্চা চলছে। আমাদের আধুনিক জীবনযাত্রায় নিজেকে সুস্থ রাখতে যোগাসনের কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে প্রায় সমগ্র বিশ্বেই (World) যোগা চর্চা (Yoga Practiced) হয়ে থাকে।


সমগ্র পৃথিবীতে মোট ১৪ রকমের যোগাসন চর্চা (Yoga Practiced) করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ যোগাসন মোট ১৪ প্রকারের হয়ে থাকে। আসুন জেনে নেই এই ১৪ প্রকার যোগা সম্পর্কে-




১. হস্ত যোগাসন- এটি সাধারণত শরীরে স্বস্তি ও মস্তিস্ককে আরাম প্রদান করে থাকে। পিঠ টানটান করে সোজা হয়ে বসে হাত দুটো ওপর দিকে করে জড়ো করে এটি করা হয়ে থাকে।




২. আয়েঙ্গার যোগাসন- এতে পদ্মাসনকে বোঝানো হয়। মস্তিষ্কে শান্তি ও চাপ কমাতে এটি খুব কার্যকরী।




৩. কুন্ডলিনী যোগাসন- তন্ত্র ও ধ্যানের মাধ্যমে সাধনা করে নিজের অন্তরের কুণ্ডলিনী শক্তিকে জাগিয়ে তোলার নাম হল কুণ্ডলিনী যোগাসন। এর দ্বারা মনের জোর ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে।




৪. অষ্টাঙ্গনা যোগাসন- এই ধরণের যোগাসনে বেশ শারীরিক পরিচর্যা ও ব্যায়াম হয়ে থাকে। এতে ওজন কমানো ও নানারকমের শক্তি পরিচর্চযা করা যায়।




৫. বিনায়ক যোগাসন- এটি ভারতবর্ষের একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে করা হয় যা বিশেষ করে বিনায়ক মহাবিদ্যালয় থেকে প্রচারিত।




৬. বিক্রম যোগাসন- এই যোগাসনে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি দ্বারা গভীর নিশ্বাস নিয়ে একটি গরম তাপমাত্রার ঘরে অনুশীলন করা হয়।




৭. হট যোগাসন- বিক্রম যোগাসনের মত হট যোগাসনও গরম তাপমাত্রায় করা হয়, কিন্তু তার জন্যে যে কোনো গরম তাপমাত্রার ঘর প্রয়োজন তা নাও হতে পারে।




৮. কৃপালু যোগাসন- এটি অনেকটা হাত যোগাসনের মত। কৃপালু যোগাসনে ভগবানকে স্মরণ করে সাধনা করা হয়।




৯. জীবমুক্তি যোগাসন- ভক্তি, অহিংসা ও ধ্যান বাড়ানোর জন্যে যেই শারীরিক, নৈতিক ও আধ্যাতিক যোগাসন করা হয় তাকে বলা হয় জীবনমুক্তি যোগাসন।




১০. ইন যোগাসন- এই যোগাসন একটু ধীর গতিতে অনেক্ষন সময় নিয়ে করা হয়।




১১. রেস্টোরেটিভ যোগাসন- নতুন করে নিজের দৈহিক ও মানসিক স্থিতিকে আবিষ্কার করে সেই পথে এগোনোর নাম হল রেস্টোরেটিভ যোগাসন।




১২. মাতৃত্ব পূর্ব যোগাসন- এই ধরণের যোগাসন গর্ভাবস্থার আগে বা গর্ভাবস্থার সময় করা হয় যার ফলে পরবর্তীকালে একটি সুস্থ সবল শিশু জন্মায় ও মায়ের শারীরিক অবস্থা ভাল থাকে।




১৩. অনুসরা যোগাসন- এই যোগাসনের মাধ্যমে আধ্যাতিক চিন্তাভাবনা বাড়িয়ে তোলা হয়।




১৪. অন্যান্য অদ্ভুত প্রকারের যোগাসন- এমন অনেক যোগাসন রয়েছে যা অন্যান্য যোগাসনের তুলনায় একটু অদ্ভুত কিন্তু বেশ প্রচলিত। যেমন মধু বা মোদের সাহায্যে যোগাসন, হাসি বা কান্নার মাধ্যমে যোগাসন, কোনো পশু বা পাখির সাহায্যে যোগাসন, ইত্যাদি।


তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট