Primary Teacher's : ৩৬০০০ নয়, আদালতের সংশোধনে একধাক্কায় কমে গেলো অনেকটা

Primary Teacher's : ৩৬০০০ নয়, আদালতের সংশোধনে একধাক্কায় কমে গেলো অনেকটা


Primary Teacher's


২০১৬ সালে নিয়োগ হওয়া সমস্ত সেদিনের নন ট্রেন্ড শিক্ষক শিক্ষিকাদের চাকরি বাতিল করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । নির্দেশে উল্লেখ ছিলো প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলো। কিন্তু দেখা যায় সেই সংখ্যাটি ভুল ছিলো। 

গত শুক্রবার প্রাথমিকের ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। মঙ্গলবার সেই রায়টিই সংশোধন করে নিলেন তিনি। ওই রায়ে মুদ্রণজনিত ত্রুটি হয়েছে জানিয়ে বিচারপতির কাছে আবেদন করা হয়েছিল। 

রায়ের ‘টাইপোগ্রাফিক্যাল’ ভুল নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। প্রথমটি ছিল, প্যানেলের সর্বনিম্ন নম্বর রায়ে লেখা হয়েছে ১৪.১৯১। দ্বিতীয় ভুলটি ছিল, ৩৬ হাজারের নিয়োগে ত্রুটি হয়নি। সংখ্যাটা কিছুটা কম।


মঙ্গলবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চাকরি বাতিলের সংখ্যাটি ৩২ হাজারের কাছাকাছি হবে। আর সর্বনিম্ন নম্বর সংশোধন করে হবে ১৩.৭৯৬। আরও পড়ুনঃ Breaking: অবশেষে  ববিতার চাকরি পেলো অনামিকা বিশ্বাস রায় 


তবে চাকরি এখনই যাচ্ছে না চাকরি। আগামী চার মাসের মধ্যে নতুন করে প্যানেল করতে হবে। এতোদিন পর্যন্ত সমস্ত নন ট্রেন্ড শিক্ষকরা পার্শ্ব শিক্ষকদের এর মতো বেতন পাবেন।

প্রসঙ্গত ৯ বছর আগের প্রাথমিক  নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে আদালতে মামলা করেছিলেন  আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।

তরুণজ্যোতি তিওয়ারি দাবি করেছিলেন, এই প্যানেলের ৪২ হাজার ৫০০ জনের নিয়োগ হয়েছিল। তবে  তাদের মধ্যে অনেকে মেধার ভিত্তিতে সঠিক ভাবেই চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু বাকিদের চাকরি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 

এই চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ