হাত পা বাঁধা অবস্থায় এক বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার! খুনের অভিযোগ পরিবারের, গ্রেফতার নাতি

Old woman murder case



জলপাইগুড়ি, জয়ন্ত বর্মণ

হাত, পা বাঁধা অবস্থায় ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো ময়নাগুড়ি তে। নিজের ঘর থেকেই মৃতদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। মৃত মহিলার নাম ঝর্ণা মোহন্ত (৬৫)। ময়নাগুড়ি দোমহনী কালীবাড়ি এলাকার ঘটনা৷ এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বুধবার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বলে ময়নাগুড়ি থানা সূত্রে খবর। এই ঘটনার পর মহিলাকে খুন করার অভিযোগ তুলে থানায় লিখিত অভিযোগ জানায় পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ জমার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মৃত বৃদ্ধার নাতি সম্রাট দাস (১৯) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। 



এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত জানান," ঘটনার তদন্তে নেমে বৃদ্ধার নাতি সম্রাট দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ওই যুবক। "




পরিবার সুত্রে খবর গত রবিবার থেকে ঝর্ণা মোহন্তের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলনা।ঝর্ণা দেবী তার বাড়িতে একাই থাকতেন। তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। দুই মেয়ের বিয়ে হয় দোমহনি এলাকায় এবং আরেক মেয়ের বিয়ে হয় ক্রান্তি ব্লকে। মায়ের কোনো খোঁজ না মেলায় মঙ্গলবার মেয়েরা বাড়িতে আসেন এবং এসে দেখতে পায় গেটে তালা বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি ঘরের ভেতরে লাইট জ্বলছে। এর পরেই প্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন বিছানায় উপর ঝর্ণা মোহন্তের হাত পা বাঁধা অবস্থায় পরে রয়েছে। ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরতেই প্রচুর রাতেই মানুষের ভীড় জমে যায় এলাকায়। পরিবারের দাবি ঝর্ণা দেবীকে খুন করা হয়েছে।তবে ৬৫বছরের এক মহিলা এতো নৃশংস ভাবে কে বা কাহারা খুন করলো সেটাই ভাবাচ্ছে পরিবারের সদস্যদের। বুধবার ঘটনায় খুনের অভিযোগ এনে ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ জমা করেন পরিবারের তরফে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত নেমে একজনকে গ্রেফতার করতে সফল হন। অভিযোগ জমার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ঘটনায় জড়িত মূল আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যায়, ধৃত ওই যুবকের নাম সম্রাট দাস (১৯)। তার বাড়ি ময়নাগুড়ি দোমহনি সরকার পাড়া এলাকায়। সে ময়নাগুড়ি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র । 



পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার ধৃত নাতি সম্রাট দিদার বাড়িতে গিয়ে অশ্লীল ভিডিও দেখছিল। সেই সময় দিদা বাড়িতে বলে দেওয়ার কথা বলায় তাকে বেধে খুন করে। পুলিশের তদন্তে এমন কথাই স্বীকার করেছে ওই যুবক। বৃহস্পতিবার ধৃতকে আদালতে পাঠাবে বলে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ জানিয়েছেন।