৩২০০০ চাকরি বাতিলের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের


Highcourt



৩২০০০ চাকরি বাতিলের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের। ২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ হয়েছিল মোট ৪২,৫০০। এর মধ্যে ৩২০০০ অপ্রশিক্ষিত চাকরিজীবীর নিয়োগ বাতিল করেছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ বাতিলের সেই রায়কে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।‌‌‌‌‌

আজ বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত অথবা আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া রায় স্থগিত থাকবে।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় চাকরি বাতিলের রায় দিলেও জানা গিয়েছিল আগামী চার মাসের মধ্যে নতুন করে প্যানেল হবে। এতোদিন পর্যন্ত সমস্ত নন ট্রেন্ড শিক্ষকরা পার্শ্ব শিক্ষকদের এর মতো বেতন পাবেন। 


অর্থাৎ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে যেখানে বলা হয়েছিলো ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল এবং তারা আগামী তিন মাস পার্শ্ব শিক্ষকদের স্যালারি পাবে। এই রায়ে স্থগিতাদেশ জারি হলো আজ। তবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে যেখানে বলা হয়েছিলো বোর্ডকে তিন মাসের মধ্যে সব নিয়ম প্রক্রিয়া মেনে নতুন করে ইন্টারভিউ এবং aptitude test নিতে হবে এবং যার ভিডিওগ্রাফি থাকবে এবং সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে এবং রিজার্ভেশন এর নিয়ম মেনে হবে, সেই রায় বহাল থাকছে। এমনকি কলকাতা হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চ বোর্ডকে বলেছে তিন মাসের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে ।

প্রসঙ্গত ৯ বছর আগের প্রাথমিক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে আদালতে মামলা করেছিলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।তরুণজ্যোতি তিওয়ারি দাবি করেছিলেন, এই প্যানেলের ৪২ হাজার ৫০০ জনের নিয়োগ হয়েছিল। তবে তাদের মধ্যে অনেকে মেধার ভিত্তিতে সঠিক ভাবেই চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু বাকিদের চাকরি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।