কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাঁ খুনকাণ্ডে গ্রেফতার এক

Coal smugglers



সঞ্জিত কুড়ি, পূর্ব বর্ধমান:- 


বর্ধমানের শক্তিগড়ে কলয়া মাফিয়া রাজু ঝাঁয়ের খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে দুর্গা পুরের সিটি সেন্টার অম্বুজা নগরী থেকে অভিজিৎ মন্ডল নামে একজনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ।ধৃতের আদি বাড়ি বাঁকুড়ার গঙ্গাজল ঘাটি এলাকায়।



সূত্রের খবরধৃত অভিজিৎ, রাজু ঝাঁ এর ব্যবসায়ী সঙ্গী নারায়ন খাড়কার গাড়ির চালক ছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে গাড়ি চালানোর পাশাপাশি নারায়নের একাধিক ব্যবসার কাজ দেখাশোনাও করত অভিজিৎ। কাঁকসা ব্লকে বামুনাড়া এলাকায় তপোবন সিটিতে অভিজিতের একটি ফ্লাট আছে। স্ত্রী এক পুত্র সন্তানকে নিয়ে ফ্লাটে থাকতেন ধৃত অভিজিৎ।



মঙ্গলবার রাতে ধৃতকে গ্রেফতার করার পর ফ্লাটে তালা বন্ধ করে অন্যত্র চলে যায় অভিজিতের স্ত্রী রিয়া। আজ তাকে বর্ধমান আদালতে তোলা হলে, পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান পুলিশ।আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন বলেন শক্তিগড়ে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় দুর্গা পুর থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ তাকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।তদন্তের সার্থে ধৃতকে পুলিশ রিমান্ডে নেয়া হবে।




পুলিশ সুপার বলেন ধৃতকে হেফাজতে নেওয়ার পর ধৃতের কাছা থেকে আরো কিছু জানা যাবে।তবে তদন্তের সার্থে এরথেকে বেশি কিছু বলতে চাননি পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন ।পুলিশ সুপার বলেন ধৃতের কাছথেকে যা জানাযাবে তা সংবাদ মাধ্যমের সাথে শেয়ার করা হবে।




গত পয়লা এপ্রিল দুর্গা পুর থেকে কোলকাতা যাবার পথে বর্ধমানের দুই নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে শক্তিগড়ে শুট আউট হন অবৈধ কয়লা কারবারে অভিযুক্ত রাজু ঝাঁ।কলকাতায় যাওয়ার সময় আচমকা হামলা হয় তার উপর। চালানো হয় একাধিক গুলি।গুরুতর আহত অবৈধভাবে কয়লা কারবারে অভিযুক্ত রাজু ঝাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।সেখানে কর্মরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে জখম হন তার এক সঙ্গীও।



উল্লেখ্য , ২০২০ সালে ডিসেম্বর মাসে কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাঁ বিজেপিতে যোগদান করেন। হোটেল ব্যবসায়ী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত ছিলেন রাজু। তবে বেআইনিভাবে কয়লা কারবারে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। শ্যুট আউটের পর তদন্তে আসে ফরেনসিক দলের প্রতিনিধিরা।ঘটনার কিছুটা দুরথেকে উদ্ধার হয় দুষ্কৃতীদের নীল রঙের গাড়িটি।



শক্তিগড়ে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান , রাজুর ফরচুনা গাড়িতে চারজন ছিলো। একটি লাল রঙের গাড়িতে দুজন আসে। দুজনের হাতে রিভলবার ছিলো। তারাই গুলি চালায়। পরপর চার রাউন্ড। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে। জানা গিয়েছে, একাধিক গুলি বিদ্ধ করেছে রাজুর শরীর।