বজ্রপাতের জেরে মাত্র দু ঘণ্টার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় মোট ৯ জনের মৃত্যু

বজ্রপাতের জেরে মাত্র দু ঘণ্টার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় মোট ৯ জনের মৃত্যু

ধান কাটছে কৃষক
প্রতীকী ছবি, ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত 



প্রবল বৃষ্টির (Heavy rain) সঙ্গে হচ্ছিল প্রচণ্ড বজ্রপাত (lightning strikes)। এর জেরে মাঠে চাষের কাজ করার সময় ও গোরু চরানোর সময় মাত্র ২ ঘণ্টায় মৃত্যু হল ৯ কৃষকের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। ৬টি উপজেলাজুড়ে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হচ্ছিল রবিবার সকাল থেকে। এর সঙ্গে বজ্রপাত হচ্ছিল কিছুক্ষণ পরপরই।

সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেটে বজ্রপাতে ৯ কৃষকের প্রাণহানি হয়েছে। রোববার সকালে হাওরে ধান কাটতে গিয়ে এই তিন জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা বজ্রপাতের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছে।


বজ্রপাতে সুনামগঞ্জ উপজেলার ছাতকে ৩ জন, তাহিরপুর উপজেলায় একজন, দোয়ারাবাজারে ২ জন, মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গল একজন, কমলগঞ্জে একজন এবং সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় একজন মারা গেছে।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ছাতক উপজেলার একটি হাওরে সকালে ধান কাটতে গেলে বজ্রপাতে তিন কৃষক গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিন জনকে মৃত ঘোষণা করেন।


সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক-দোয়ারা সার্কেল) রনজয় চন্দ্র মল্লিক জানান, বজ্রপাতে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের দেবেরগাঁও গ্রামের হোসাম মিয়ার ছেলে মহিম মিয়া (১৩) ও বড়কাপন গ্রামের আরশ আলী (৬০) এবং চরমহল্লা ইউনিয়নের চরদুর্লভ গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে আব্দুস সামাদ (৪৫) প্রাণ হারিয়েছে।


প্রায় একই সময়ে দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকার চৌদ্দকুড়ি হাওর ও কালাদেউরা হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে আরও দুই কৃষকের প্রাণহানি ঘটে। তারা হলো দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের রণভূমি গ্রামের কৃষক তারা মিয়া ও মিলন মিয়া।


দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব দুলাল ধর জানান, সকালে তাহিরপুরে হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে রমজান মিয়া নামের আরেক কৃষকের প্রাণহানি ঘটে। এ সময় আরেক কৃষক আহত হন। কৃষক রমজান মিয়া (১৬) উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন কুকুরকান্দি গ্রামের হাছন আলীর ছেলে।


তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার জানান, গোলাঘাট হাওরে ধান কাটতে গিয়ে কিশোর রমজান বজ্রপাতে মারা গেছে। আহত যুবককে চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।


প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়া দফতর থেকে আগেই ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এখন বোরো ধান কাটার মরসুম থাকায় বিভিন্ন গ্রামে কৃষকরা মাঠে কাজ করছিলেন। কেউ বা গোরু চড়াচ্ছিলেন। সেই সময়ই ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতের জেরে মাত্র দু ঘণ্টার মধ্যে ৬টি উপজেলার ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আর জখম হয়েছেন তিনজন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ