dearness allowance: ডি এ সহ একাধিক দাবিতে কর্মবিরতি নিয়ে হাইকোর্টের গুরুত্বপূর্ন নির্দেশ 


Kolkata high court



রাজ্য জুড়ে সরকারী কর্মচারীরা বকেয়া ডি এ (dearness allowance) সহ একাধিক দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করছে। আজ রাজ্য জুড়ে ডাক দেওয়া হয়েছে কর্ম বিরতির , সেই সাথে দিল্লিতেও শুরু হয়েছে আন্দোলন। 

বকেয়া মহার্ঘভাতার (dearness allowance) দাবিতে সরকারি কর্ম  চারীদের সাথে আন্দোলনে নেমেছেন  আদালতের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীরা । ফলে সমস্যায় পড়েছেন আইনজীবী থেকে সাধারণ বিচারপ্রার্থীরা। 

কর্মবিরতি নিয়ে ইতিমধ্যে দায়ের হয়েছে মামলা। সেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, দিনের পর দিন এভাবে কর্মবিরতি চলতে পারে না।

হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী ১৭ এপ্রিল কর্মচারী সংগঠনের তিন সদস্যের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে নবান্নকে। সেই আলোচনায় কী ঠিক হল তা আদালতকে জানাতে হবে।

একই সাথে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ডিএ (dearness allowance) সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।

আদালত জানিয়েছে, ফলপ্রসূ আলোচনা নিশ্চিত করার জন্য বৈঠকে মুখ্য সচিব এবং অর্থ সচিবের মতো সরকারের সিনিয়র আমলাদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিক্ষোভকারীদের  পক্ষ থেকে তিনজন সদস্য প্রতিনিধিত্ব করবেন।

এদিন যখন ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি বলেন- “বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা বিচার করা হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা কি অন্য ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করতে পারে না? এই প্রশ্নের উত্তরে আন্দোলনকারী কর্মচারীদের কৌঁসুলি সপ্তাংশু বসু  জানিয়েছেন “ মুখ্যমন্ত্রী তার মন্তব্য দিয়ে আমাদের অপমান করেছেন। এই পেনডাউনটি সেই বিবৃতির প্রতিবাদে ছিল” ।

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, "সংগ্ৰামী যৌথ মঞ্চের 06/04/2023 তারিখের কর্মবিরতির বিরোধিতা করে একজন আইনজীবী মামলা করে। সেই মামলায় সরকারের পক্ষ থেকে  রাজ্যের মাননীয় অ্যাডভোকেট জেনারেল আজ উপস্থিত ছিলেন। সংগ্ৰামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী বিক্রম ব্যানার্জি ও সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। রায়দান পর্বে মাননীয় হাইকোর্ট কর্ম বিরতির বিরোধিতা করে  কোন রায় না দিলেও সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আমাদের বিষয় নিয়ে আলোচনা টেবিলে বসার এবং সেটা ১৭ এপ্রিল, 2023 এর  মধ্যে। মুখ্য সচিব এবং অর্থ সচিব কে আমাদের সাথে বসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আমাদের দাবী দাওয়া বিষয়ে আলোচনার জন্য। মাননীয় হাইকোর্টের এই প্রস্তাবে মাননীয় অ্যাডভোকেট জেনারেল সহমত পোষণ করেছেন।"