আমার প্রার্থী আমার অধিকার, তৃণমূলে এল নব জোয়ার - অভিষেক
সাহেবগঞ্জ, সংবাদ একলব্যঃ
মানুষের পঞ্চায়েত তৈরি হবে। দুমাসের জন্য ঘর বাড়ি সংসার এসব ছেড়ে এসছি আপনাদের সঙ্গে থাকব বলে। কোনও শাসক দল এভাবে রাস্তায় নামে না। বিরোধীরা নামে। আমরা সরকারের। তবু পথে নেমেছি। আপনারা কাকে প্রার্থী চান সেটা জানতে এসছি। এভাবেই সাহেবগঞ্জের জনসভায় জানালেন অভিষেক।
তিনি বলেন, আগামীদিনে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলে নিজের পঞ্চায়েতের কথা ভেবে করবেন। পঞ্চায়েতের আগে ১৯ সালে গ্রামের রাস্তা পানিয়জলের কথা ভেবে কেউ ভোট দেননি। ১০০ দিনের কাজ সামনে রেখে ভোট দেননি। আগামী পঞ্চায়েতে কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগ নয়, বালাকোটের নামে নয়, ৫৬ ইঞ্চির ছাতির জন্য নয়, বাংলার দাবি দিল্লির বুক থেকে ছিনিয়ে আনতে ভোট দিতে হবে। বাংলাকে যারা বঞ্চিত অত্যাচারিত করছে তাদের জন্য নিজের অধিকার ছিনিয়ে আনতে ভোট দিতে হবে। তৃণমূল বলছে নিজের ভোট নিজে দেবেন তো বটেই। নিজের প্রার্থী বেছে নিন ।
এদিন তিনি বলেন- ২০২৬ পর্যন্ত সরকার আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩ বার মুখ্যমন্ত্রী। আবার চতুর্থবার জিতবেন । কিন্তু পঞ্চায়েতে মানুষের প্রতিনিধি না থাকলে সেখানে পরিষেবা বাধা পাবে। শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক অবাধ নির্বাচন হোক। তার জন্য প্রার্থী তৃণমূল ঠিক করবে না। আপনারা যাকে প্রার্থী ঠিক করবেন দলের সর্ব শক্তি দিয়ে তাকে জিতিয়ে আনা হবে। আপনার প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবে না, দলের কেউ ঠিক করবে না। আপনি ঠিক করবেন। গঠনশিল প্রগতিশীল উন্নয়নমূলক পঞ্চায়েত গঠন করবেন
অভিষেক বলেন- আমাদের দরকার ছিল না। কিন্তু মানুষের পাশে এসছি তার কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিলে রাখে। কিছু মানুষ বলেছিল অভিষেক বলেছিল কিন্তু কাজে হবে তো? সেটাই যাতে হয় তার জন্য এসছি ।
এদিন সভায় ব্যালট পেপার দেওয়া হয়। অভিষেক বলেন- এটা গোপন ব্যালট। যাকে প্রার্থী চান ব্যালট বাক্সে নাম লিখে ফেলে দিন। ৩৩৪৩ টা পঞ্চায়েত রয়েছে বাংলায়। সব জায়গায় যাব। মানুষের পঞ্চায়েত গড়ে ছাড়ব। যাতে পরিষেবা আপনার দুয়ারে যায়। আপনাকে পঞ্চায়েতের দুয়ারে যেতে না হয় যারা ভোট দিয়েছে তাদের জন্যও কাজ করতে বদ্ধ পরিকর। যারা দেয়নি তাদের জন্যও কাজ করতে বদ্ধ পরিকর মানুষ যাকে সার্টিফিকেট দেবে সেই প্রার্থী হবে। নির্ভয়ে নির্দ্বিধায় ভোট দেবেন।
যাতে ১০০ দিনের টাকা মানুষ পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কেন্দ্রে মোদি সরকার ক্ষমতায় ছিল। ১৪ সালে এরা জিতেও পারেনি টাকা আটকে রাখতে। ১৯ সালেও কি ভোট দিয়েছিলেন ১০০ দিনের টাকার জন্য? ১১ লক্ষ মানুষের নাম পাঠানো হয়েছিল। টাকা আটকে রেখেছে জর জবরদস্তি। ১৯ সালে আপনারা ধর্মের জন্য ভোট দিয়েছিলেন। মোদি জির ৫৬ ইঞ্চির ছাতি দেখে ভোট দিয়েছিলেন। এখন হাতির শুরে হাত বোলাচ্ছে। অভিষেক খোলা সভায় তার নাম্বার দিয়ে বলেন সেখানে পছন্দের প্রার্থীর নাম, পঞ্চায়েত ঠিকানা জানাতে।
7887778877 এই নাম্বারেই ফোন করে পছন্দের প্রার্থীর নাম জানাতে পারবে সাধারণ জনগন।
অভিষেক বলেন- ডাক্তার হোক, সমাজসেবক হোক, শিক্ষক হোক তার নাম লিখে জানান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর হাত শক্ত করতে হবে। নিজের পঞ্চায়েত নিজে গড়বেন।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊