শুধু শিক্ষকরাই নন, ১০ মার্চ বিদ্যালয়ে আসবেন না প্রধান শিক্ষকরাও ! ঐতিহাসিক ধর্মঘটের পথে ১০ মার্চ !

strike



ন্যায্য মহার্ঘ ভাতার (Dearness allowance) দাবি এবং সমস্ত শূন্য পদে নিয়োগের দাবিতে রাজ্যে চলছে সরকারী কর্মচারীদের আন্দোলন। আগামী ১০ই মার্চ ধর্মঘর্মটের ডাক দিয়েছেন রাজ্যের সরকারি কর্মী এবং শিক্ষকরা।


আর এইজন্য সমস্ত অফিশিয়াল কাজও করে রাখছেন তারা, অর্থাৎ ধর্মঘট পালনের নোটিশ দিয়ে রাখছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের কাছে। গণহারে জমাপড়ছে এই ধর্মঘট পালনের নোটিশ। তবে এবারও আরও একটি খবর সামনে আসছে। শুধু শিক্ষকরাই নন প্রধান শিক্ষকদের একটা অংশও যোগ দিচ্ছেন এবারের ধর্মঘটে।


খবরে প্রকাশ আগামী শুক্রবার ধর্মঘর্মটের ডাক দিয়েছে ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’। ৩৯ শতাংশ ডিএ এবং স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে এই ধর্মঘট। এই প্রসঙ্গে প্রধানশিক্ষকদের একটি বড় অংশ নিজেদের অবস্থান গোপন করেননি। পরিচালন সমিতির সভাপতি বা প্রশাসকদের কাছে তাঁরা একই বয়ানে চিঠি দিয়ে বলছেন, ‘একা স্কুল চালানো সম্ভব নয়। ১০ মার্চ, শুক্রবার বিদ্যালয়ে আসব না।’


প্রধান শিক্ষকদের একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি জানিয়েছেন, ‘রাজ্যজুড়ে আমরা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের গণছুটির আবেদন পাচ্ছি। যে ইস্যুতে ধর্মঘট , তা আমরা সমর্থনর্থ করি। আমরাও ওইদিন ছুটি নিচ্ছি।’


এদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদর্ষকে চিঠি দিয়ে আগামী ১০ মার্চ তারিখ ধর্মঘট থাকায় মাধ্যমিকের খাতা বিতরণের দিন পরিবর্তন করার আবেদন করেছেন শিক্ষকরা ।


এই নিয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘আগামী ১০ তারিখ সারা রাজ্যে তিনটি দাবিতে স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিসে সর্বত্রর্ব ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। ঐদিন রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা বিতরণের দিন ধার্য রয়েছে। আমরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদর্ষকে চিঠি দিয়ে আবেদন জানাচ্ছি ওই দিনটি ধর্মঘর্মট থাকায় নির্ধারিত ওই কর্মসূর্মচি পরিবর্তনর্ত করা হোক। কেননা সারা রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকাগণ ঐদিন ধর্মঘট পালন করবেন।"


এদিকে গতকাল সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “আমার মুন্ডু কেটে নিন, এর বেশি ডিএ পাবেন না।”


সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে মমতার (Mamata Banerjee) প্রশ্ন, “আর কত চাই, কত দিলে সন্তুষ্ট হবেন তারা। দয়া করে আমার মুন্ডুটা কেটে নিন। তাহলে যদি আপনারা সন্তুষ্ট হন। আমাকে যদি পছন্দ না হয় তাহলে আমার মুন্ডুটা কেটে নিন। কিন্তু এর থেকে বেশি আমার কাছে আর পাবেন না।”


অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের (Government Employee) জন্য বরাদ্দ পেনশনের (Pension) প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) দাবি, “দেশের কোনও রাজ্য এখন অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন দেয় না, কিন্তু আমরা দিই। তাহলে কি পেনশন বন্ধ করে দেব, পেনশন না দিলে রাজ্য সরকারের হাতে অনেক অনেক টাকা থাকবে, তখন ডিএ দিতে পারব।”


কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে মমতা অভিযোগ তোলেন, “যতটা সম্ভব রাজ্য সরকার দিচ্ছে। ডিএ (Dearness Allowance) বাধ্যতামূলক নয় যে দিতেই হবে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের স্কেল আলাদা। রাজ্য সরকারি কর্মীরা ছুটিও পান অনেক বেশি। দু’টোকে এক করে ফেললে চলবে না।”


এদিকে ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। তারই মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর এরূপ মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই সরকারি কর্মচারী (Government Employee) মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। আগামী ১০ মার্চের ধর্মঘট (Strike) নিয়ে প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।