Dearness Allowance : মুন্ডু কেটে নিলেও এর থেকে বেশি DA দিতে পারব না-মমতা
সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “আমার মুন্ডু কেটে নিন, এর বেশি ডিএ পাবেন না।” পেনশন বন্ধ করে ডিএ দেবেন কিনা, সেই প্রশ্ন তোলেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরেই বিরোধীরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে মমতার (Mamata Banerjee) প্রশ্ন, “আর কত চাই, কত দিলে সন্তুষ্ট হবেন তারা। দয়া করে আমার মুন্ডুটা কেটে নিন। তাহলে যদি আপনারা সন্তুষ্ট হন। আমাকে যদি পছন্দ না হয় তাহলে আমার মুন্ডুটা কেটে নিন। কিন্তু এর থেকে বেশি আমার কাছে আর পাবেন না।”
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের (Government Employee) জন্য বরাদ্দ পেনশনের (Pension) প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) দাবি, “দেশের কোনও রাজ্য এখন অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন দেয় না, কিন্তু আমরা দিই। তাহলে কি পেনশন বন্ধ করে দেব, পেনশন না দিলে রাজ্য সরকারের হাতে অনেক অনেক টাকা থাকবে, তখন ডিএ দিতে পারব।”
কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে মমতা অভিযোগ তোলেন, “যতটা সম্ভব রাজ্য সরকার দিচ্ছে। ডিএ (Dearness Allowance) বাধ্যতামূলক নয় যে দিতেই হবে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের স্কেল আলাদা। রাজ্য সরকারি কর্মীরা ছুটিও পান অনেক বেশি। দু’টোকে এক করে ফেললে চলবে না।”
এদিকে ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। তারই মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর এরূপ মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই সরকারি কর্মচারী (Government Employee) মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। আগামী ১০ মার্চের ধর্মঘট (Strike) নিয়ে প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।
অপরদিকে মুন্ডু কেটে নিলেও এর থেকে বেশি DA দিতে পারব না, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিরোধীরা। সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের নিন্দা করে বাম – বিজেপি ও ISF ।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘প্যাঁচে পড়েছে, DA ওনাকে দিতে হবে। কেন্দ্রীয় হারে দিতে হবে। এই যে পুলিশ কর্মীদের দেখছেন, এরা ২০ হাজার টাকা করে বেতন কম পায়। ওনার কী? ওনার ভাইপো তো আমেরিকায় যায় চিকিৎসা করাতে। সাধারণ লোকদের মারছেন উনি’।
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘ওনাকে ডিএ দিতে হবে। কেন্দ্রীয় হারে দিতে হবে। এবং এরিয়ার সহ দিতে হবে। কী করে ঘোলা জল ওনাকে খাওয়াতে হয় ভালো করে জানি। ওনাকে কী করে লাইনে আনতে হয় সেটা জানি আমি’।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর মুখে নর্দমার মতো নোংরা জলের স্রোত, এটা চলতে পারে না। মুন্ডু কেটে নিন, এই মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীসুলভ নয়। অন্য রাজ্যের সরকার DA দিতে পারলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যদি না পারে তাহলে বলতে হবে এখানকার সরকার ব্যর্থ। মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রীদের বেতন বেড়েছে। বিধায়কদের বেতন বেড়েছে। আমলারা কেন্দ্রীয় হারে DA পাবেন। অবসরের পর সরকারি পদে বসে লাখ লাখ টাকা মাইনে পাবেন। তাদের সময় টাকার তো কোনও অভাব নেই’।
ISF বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীরা তো ওনার মুন্ডু চায়নি। আর এনাদের হাতে তলোয়ারও নেই, পেন আছে। পেনের খোঁচা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। উনি ডিএ দিতে না পারলে মুন্ডু কাটাতে হবে না ওনাকে ছেড়ে দিতে বলুন না। অন্যজন সুযোগ পাক’।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊