এবার কি তবে বাতিল হতে চলেছে  ৪২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষকের চাকরি ? 

WB Scam News



WB Scam News : প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Teacher Recruitment) কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। নিয়োগে কোনও পদ্ধতি মানা হয়নি, এমনটাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সামনে স্বীকার করে নিলেন টেটের অধিকাংশ পরীক্ষক।


ইতিমধ্যে টেট পরীক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারকে ডেকে 'রুদ্ধদার শুনানি' করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সময় খবর বেরিয়ে আসে অনেক পরীক্ষক কীভাবে ইন্টারভিউ নিতে হয় তাই জানতেন না। এবার সামনে এলো আরো একাধিক চমকপ্রদ তথ্য।



আইনজীবী সূত্রে রুদ্ধদার শুনানির সময় জানা গিয়েছিলো, বন্ধ ঘরে উপস্থিত ইন্টারভিউয়ারদের প্রথমেই বিচারপতি অভয় দিয়ে বলেন, ‘‘আপনাদের কোনও ভয় নেই। ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। যা সত্যি তা আমায় জানাবেন। তবে বিচারকক্ষের বাইরে এ নিয়ে কোনও কথা বলবেন না।’’ আইনজীবী সূত্রে খবর, এর পর প্রত্যেককে আলাদা করে ডেকে তাঁদের কথা শোনেন বিচারপতি। সেখানেই কেউ কেউ বিচারপতিকে জানান, পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না তাঁরা।


চাকরি প্রার্থীরা অভিযোগ করেছিলেন, নাম জিজ্ঞাসা করেই ইন্টারিভিউ শেষ করা হয়েছে, কাউকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে কোথায় থাকেন, ব্যাস এতটুকুই। এই ধরণের বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে আদালতে।


প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (Primary Teacher Recruitment) পরীক্ষায় অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে নিয়ম না মানার অভিযোগ করেছিলেন চাকরি প্রার্থীরা।


অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট ‘সঠিক পদ্ধতি’ মেনে হয়নি। সেই মর্মে নথিতেও সই করেছেন তাঁরা । ২০১৪ সালের প্রাথমিকের টেট পরীক্ষার হিসাবে ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary Teacher Recruitment) হয়। এক লক্ষ ছ’ হাজার জন টেট উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৪২ হাজার ৫০০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। ওই নিয়োগের ক্ষেত্রেই অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন বেশ কয়েক জন প্রার্থী।


সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুরু হওয়া মামলায় ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারের মধ্যে ২৫ জন ইন্টারভিউয়ার স্বীকার করেন, ‘সঠিক পদ্ধতিতে’ অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি। অনেক প্রার্থীর কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্টই নেওয়া হয়নি। নিজেদের বয়ানের নথিতে সইও করেছেন ওই ইন্টারভিউয়াররা। সেই নথি এ বার তুলে ধরেন আইনজীবী।


এমনকি ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য আলাদা কোনও জায়গা তাদের দেওয়া হয়নি। যে জায়গায় ইন্টারভিউ হয়েছিল, সেখানে কোনও চক বা ব্ল্যাকবোর্ড ছিল না। অনেকেই জানিয়েছিলেন, চক, ডাস্টার নিয়ে কী ভাবে পড়াবেন, তা অ্যাপটিটিউট পরীক্ষায় বলা হয়নি।


অনেক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেছিলেন, তাদের অ্যাপ্টিটিউড পরীক্ষা হয়েছিল বারান্দায়। সেখানে কোনও ব্ল্যাকবোর্ড ছিল না। সেই অভিযোগ সত্য বলেই দেখা দিলো এবার।

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে এবার কি তবে বাতিল হতে চলেছে  ৪২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষকের চাকরি ?