পৌষের শেষ দিনটি পৌষ সংক্রান্তি (Poush Sankranti) বা মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti)

Makar Sankranti



পৌষের শেষ দিনটি পৌষ সংক্রান্তি (Poush Sankranti) বা মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) বলা হয়। মকর সংক্রান্তি মূলত জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি ক্ষণ। 'মকরসংক্রান্তি' (Makar Sankranti) শব্দটি দিয়ে নিজ কক্ষপথ থেকে সূর্যের মকর রাশিতে প্রবেশকে বোঝানো হয়ে থাকে।


ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী 'সংক্রান্তি' একটি সংস্কৃত শব্দ, এর দ্বারা সূর্যের এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে প্রবেশ করাকে বোঝানো হয়ে থাকে। ১২টি রাশি অনুযায়ী এ রকম সর্বমোট ১২টি সংক্রান্তি রয়েছে। পৌষ সংক্রান্তি (Poush Sankranti) বা মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) নতুন ফসলের উৎসব। তবে এ ছাড়াও মকরসংক্রান্তি ভারতীয় সংস্কৃতিতে 'উত্তরায়ণের সূচনা' হিসেবে পরিচিত। এমনকি মকর সংক্রান্তিকে অশুভ সময়ের শেষ হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়।


সারা দেশ জুড়েই পৌষ সংক্রান্তি (Poush Sankranti) বা মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) উৎসব পালিত হয়। পুণ্যস্নান এই উৎসবের একটা প্রধান অঙ্গ। পুণ্যার্থীরা সমুদ্রে, গঙ্গায় বা অন্য কোনও নদীতে স্নান করে পুণ্য অর্জন করেন। নতুন ফসল ওঠার সুচনায় যে হেতু এই উৎসব পালিত হয়, সে হেতু ভারতের অনেক জায়গায় এই উৎসবের সঙ্গে লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়।


ভারতের বাইরেও হিন্দুরা এই দিনটি উদযাপন করে। যেখানে ভারতীয় সংস্কৃতির বিস্তার ঘটেছে সেখানেই পৌষ সংক্রান্তি (Poush Sankranti) বা মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) পালিত হয়। বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে এই উৎসব আয়োজনের চল আছে। তবে দেশ ভেদে এই উৎসবকে নানা নামে ডাকা হয়। নেপালে এই দিনটি মাঘে সংক্রান্তি নামে সুপরিচিত। আবার থাইল্যান্ডে এর নাম সংক্রান এবং কম্বোডিয়ায় এর নাম মহাসংক্রান।


মকর সংক্রান্তি সূর্য দেবতার সাথে যুক্ত, তাই মানুষ পৃথিবীতে জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য স্বর্গীয় দেহকে শ্রদ্ধা জানায়। সূর্যের উষ্ণ রশ্মি তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে মানুষকে স্বস্তি দেয়। তাছাড়া সূর্যের আলো ছাড়া কৃষিকাজ সম্ভব হবে না। তাই মানুষ সূর্য দেবতার পূজা করে এবং ফসল কাটায়। এটি ভাল ফলন সমৃদ্ধির প্রতীক, এবং তাই, লোকেরা একটি ইতিবাচক/আনন্দময় ভবিষ্যতের জন্য উন্মুখ থাকে এই দিনটিতে।